স্পোর্টস ডেস্ক: নতুন বছরে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে দুর্দান্তভাবে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেটা ধরে রাখলো দ্বিতীয় ম্যাচেও। হাথুরুসিংহের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড গড়ে ১৬৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতেছে টাইগাররা। তবে ম্যাচ শেষে জয়ের আনন্দে উচ্ছ্বসিত হলেও বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ছিল আফসোস!
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কাকে ৩২১ রানের বিশাল টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। তবে স্কোর আরও বড় হতে পারতো! বাংলাদেশের তিন সেরা ব্যাটসম্যান- তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম। তিনজনই অর্ধশতকের দেখা পেয়েছিলেন। কিন্তু কেউ সেটা শতকে নিয়ে যেতে পারেন নি। তামিম আউট হয়েছেন ৮৪ করে, সাকিব ৬৭, মুশফিক ৬২ রান করেন। ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মাশরাফি আফসোস করে বলেন, ‘জয় কিংবা পরাজয়, সব থেকেই কিছু না কিছু শেখার থাকে। এই যেমন তামিম সেঞ্চুরিটা করতে পারতো। কিন্তু ৮৪ রান করে সে আউট হয়ে গেছে। ব্যাটসম্যানরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। আপ টু দ্য মার্ক ছিল; কিন্তু একটা সেঞ্চুরিও এলো না! ‘
তবে তিন নম্বরে টাইগারদের নতুন পরিকল্পনা কাজে দিচ্ছে। গত ম্যাচে ভালো শুরু করেছিলেন সাকিব, আজ পেয়েছেন অর্ধশতক। এই প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ‘সাকিবকে তিন নম্বরে দেখে খুবই শান্ত এবং ধীরস্থির একজন ব্যাটসম্যান মনে হচ্ছে। তামিম তো সব সময়ই রানের জন্য ক্ষুধার্ত। বিজয়ও ভালো ব্যাট করেছে। সেরা পাঁচ জন ব্যাটসম্যান যদি ইনিংসের ৪০-৪৫ ওভার খেলে দিতে পারে, তাহলে আজকের মতই সাফল্য আসবে ভবিষ্যতেও।’
পাশাপাশি শেষের দিকে আর এক হার্ড হিটার ব্যাটসম্যানের অভাব অনুভব করছেন মাশরাফি। আজ সাব্বির রহমান ১২ বলে ২৪ রান করেছেন। তবে শেষের দিকে আর কেউ ধুম ধারাক্কা স্কোর করতে পারেন নি। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘ইনিংসের ফিনিশিংয়ে সাব্বিরের রোলটা বেশ ভালো হয়েছে। ৬ কিংবা ৭ নম্বরে সে ভালো ব্যাটিং করে। এই স্থানেই খেলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে সে। একই সঙ্গে আমরা সাব্বিরের মত আরেকজন বিগ হিটারকে খুঁজছি। যে শেষ দিকে এসে বিগ হিট করতে পারবে।’
এদিকে প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রতিপক্ষকে অলআউট করেছে বাংলাদেশ। বোলারদের পারফরম্যান্সে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক। বোলারদের নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘বোলিং সাইড নিয়ে বলতে গেলে আমি বলবো, দক্ষিণ আফ্রিকায় আমাদের কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে। তবে, দেশে ফেরার পর আপ টু দ্য মার্ক হয়েছে। এমন খেলতে পারলেই আমাদের জয় ধরা দেবে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস