স্পোর্টস ডেস্ক : হাথুরুসিংহে বাংলাদেশ থেকে গত হয়েছেন। তিনি এখন শ্রীলঙ্কার কোচ। তার পরে ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়েই হাথুরু বিহীন বাংলাদেশের পথ চলা শুরু।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে বহুল প্রত্যাশিত সেই শ্রীলঙ্কা ও হাথুরুর বিপক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসেরই সবচেয়ে বড় জয়।
আর এমন জয়ের পেছনে কিন্তু হাথুরুসিংহের চলে যাওয়াটাকেই দেখছেন সাকিব আল হাসান। কোচ থাকা অবস্থায় নিজের পছন্দের কিছু খেলোয়ার সব সময় দলে রাখতেন হাথুরু। যেমন, তাসকিন, সৌম্য এরা বার বার ব্যর্থতার পরও দলে ছিলই। এনামুল পারফর্ম করেও দলে ফিরতে পারছিলনা। নাসির ছিল আসা যাওয়ার মাঝে।
এখন হাথুরু না থাকায় সেখান থেকে বেড়িয়ে এসেছে বাংলাদেশ। সিদ্ধান্ত হচ্ছে সব স্বাধীন ভাবে। হাথুরু আগে দল নির্বাচনের সাথে সাথে মাঠের খেলাতেও হস্তক্ষেপ করত, কিন্তু মাঠে পুরো পুরি স্বাধীন ক্রিকেটাররা। আর এটাই জয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে বলেই মনে করেন সাকিব।
‘এখন আমরা স্বাধীনভাবে খেলার পাশাপাশি সিদ্ধান্তও নিতে পারি। ’ সাকিব অবশ্য এর সাতে বলতে চাইলেন, এমন না যে আগে তারা স্বাধীনভাবে খেলতে পারতেন না। হাথুরুসিংহে বরাবরই খেলোয়াড়দের স্বাধীনভাবে খেলতে বলতেন। হাথুরুসিংহে চলে যাওয়ার পর পরিবর্তনের কথা ব্যাখ্যা করেই সাকিব ব্যবধানটা তুলে ধরলেন, ‘একটু তো ভিন্ন হবেই সবকিছু।
আমাদের পরিকল্পনা যারা করেন তাদের চিন্তা ভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। যেহেতু আমাদের কোচের পরিবর্তন এসেছে। তাদের নতুন কিছু চিন্তা ভাবনা থাকবে। আমি বলবো না আগে আমরা স্বাধীনভাবে খেলতে পারতাম না। এখন আমরা স্বাধীনভাবে খেলার পাশাপাশি সিদ্ধান্তও নিতে পারি। ’
টেকনিক্যাল দিকের কথা ভেবে কোচ হাথুরুসিংহের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন দলের সকল খেলোয়াড়েরই। তবে আপত্তি ছিল তার একচ্ছত্র দাপটের।
তাই নতুন এ পরিবর্তনটা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন সাকিব, ‘আমাদের কাছে মনে হয়, আমাদের কাছে এটা একটা সুবিধা। সুজন ভাই আছেন, রিচার্ড (হ্যালস্যাল) আছেন। দুইজনই জানেন আমাদের কি দরকার। দুইজনই এগুলোর যোগান দিতে পারছেন। আমরা মাঠে পারফর্ম করছি। ’
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস