স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপে প্রতিটি দলেরই একটি বিশেষ শক্তিশালী দিক থাকে। তবে কোন কোন দলের আবার এমন কিছু শক্তির দিক থাকে যা একেবারেই অনন্য। আর সেই শক্তির দিক দিয়ে এবার অন্যান্য দলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ব্রাজিল।
কোন সেই শক্তির দিক?
আর্জেন্টিনার কথাই ধরুন। লিওনেল মেসিকে থামিয়ে দিলে আর্জেন্টিনা অনেকটাই পথ হারিয়ে ফেলে। মেসি ব্যর্থ হলে আর্জেন্টিনার ব্যর্থ হওয়ার চান্স ৬০ শতাংশ হয়ে যায়।
পর্তুগালের দিকে তাকান। সেখানে রোনালদোকে আটকে দিতে পারলে পর্তুগালের শক্তি অনেকটাই আটকে যায়।
ফ্রান্স-স্পেন-জার্মানীর দিকে তাকান। তাদের দলে রয়েছে একাধিক ফরোয়ার্ড যারা একজন ব্যর্থ হলে আরেকজন দলকে টেনে নেয়ার সামর্থ রাখে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, যদি তারকা ফরোয়ার্ডরা সবাই একসাথে ব্যর্থতার মিছিলে নাম লেখায় তখন কি হবে?
হ্যা, এই প্রশ্নের উত্তরটা যখন আপনি খুজতে যাবেন তখনই আপনি দেখবে, এই প্রশ্নের উত্তরে ব্রাজিল সবচেয়ে বেশি এগিয়ে।
ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড লাইনে আছে নেইমার, তাইসন, জেসুস, ফিরমিনো, ডগলাস কস্তা। ধরুন, এরা সবাই গোলবারের সামনে ব্যার্থ হচ্ছে বা প্রতিপক্ষ দলের তারকাদের কঠোর মার্কিংয়ের কারনে তারা সুযোগ তৈরি করতে পারছে না। তখনই দেখা যাবে ব্রাজিলের আসল শক্তি। যে শক্তির উৎপত্তিস্থল ব্রাজিলের বিখ্যাত মাঝ মাঠ।
এই মাঝ মাঠের তারকা ফিলিপ কৌতিনহো ও উইলিয়ান কতটা ভয়ানক সেটা বুঝা যায় তাদের খেলা দেখলেই। দুরপাল্লার শটে গোল করায় জুড়ি মেলা ভার কৌতিনহোর। গতি আর ড্রিবলিংয়ের অনন্য প্রদর্শনী দেখাতে পারদর্শী কৌতিনহো এবং উলিয়ান। আর সুযোগ সন্ধানি মিডফিল্ডার পাউলিনহো তো আছেই যিনি আবার ব্রাজিলে নিয়মিত গোল স্কোরার।
বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও ব্রাজিলের এই শক্তির দিকটিই বেশি ফুটে উঠেছিল। নেইমার, জেসুসদের সাথে পাল্লা দিয়ে গোল করেছে পাউলিনহো, কৌতিনহো, উইলিয়ান এমকি মার্সেলোরাও।
যে দলটি এতটা সমৃদ্ধ, সেই দলটি এবার শিরোপা স্বপ্ন দেখতেই পারে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস