স্পোর্টস ডেস্ক : ওরা এগারো জন: মুস্তাফিজুর রহমান ।সামনে এশিয়া কাপ, টাইগারদের জন্য এই এশিয়া কাপই হবে বিশ্বকাপে নিজেদের তৈরি করার সেরা মঞ্চ। এই টুর্নামেন্টেই যাচাই করে নিতে হবে কোনো পজিশনে কে হবে সেরা খেলোয়াড়। বেশি ভাগ পজিশনেই ভরসা সিনিয়ররা। অন্য পজিশনে সেরাটা খুঁজে পাচ্ছে না টিম টাইগার্স। এর কারণ কি? সঠিক পজিশনে সঠিক খেলোয়াড়কে না খেলানো নাকি খেলোয়াড়দের দায়িত্বজ্ঞানহীন পারফরম্যান্স।
এসব নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক এই প্রতিবেদনে। যেখানে আলোচনা হবে সেরা ১১ টাইগারদের খুঁটিনাটি দুর্বলতা ও কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে তাঁদের তা নিয়ে। আজকের পর্বে থাকছে মুস্তাফিজুর রহমানের খুঁটিনাটি ও উত্থান পতনের গল্প।
মুস্তাফিজুর রহমান এক বিস্ময়ের নাম। তিনি যেন আসলেন আর জয় করলেন। নিজের প্রতিভা চেনাতে সময় নেননি একদণ্ডও। অভিষেক ম্যাচেই আসেন পাদপ্রদীপের আলোয়। অভিষেক ওডিআইতেই স্লোয়ার কাটার দিয়ে নাস্তানাবুদ করেন ভারতের বাঘাবাঘা ব্যাটসম্যানদের। প্রথম ম্যাচেই তুলে নেন দাদাবাবুদের পাঁচ-পাঁচটি উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে আরো ভয়ংকর হয়ে উঠেন দ্যা ফিজ। এবার তুলে নেন দাদাবাবুদের ছয় উইকেট। জিম্বাবুয়ের ভিটোরির পর ২য় ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওডিয়াইতে নেন ১১ উইকেট। ৩য় ওডিয়াইতে ২ উইকেট নিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে নিজের ঝুলিতে পুরেন ১৩ উইকেট। যা তিন ম্যাচ সিরিজে কোন বোলারের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট। এভাবেই দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও টি-২০ বিশ্বকাপ সবখানেই সফলতার ছাপ রাখেন মোস্তাফিজ।
প্রথমবারের মত আইপিএল খেলতে গিয়ে হন সেরা উদীয়মান তারকা। তার দল হায়দরাবাদকে করেন প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন। তবে এই আইপিএল থেকেই যে শুরু হয় তার দুর্দিনের যাত্রা। ইনজুরি নামক দুঃস্বপ্নের শুরু যে ওখান থেকেই। ইনজুরির কারণেই হারিয়ে ফেলেন ক্যারিয়ারের শুরুর সেই তাক লাগানো বোলিং। কখনো দারুণ আবার কখনো সাদাসিধে বোলিং করে যাচ্ছেন নিয়মিত। সর্বশেষ উইন্ডিজ সিরিজে আগের মোস্তাফিজকে কিছুটা দেখা গেলেও রানটা খরচ করেছেন বেশি। এই অবধি ৩০ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৫৬ উইকেট। ইনজুরি নামক ভয়ালথাবার কাছে বারবার পরাস্ত না হলে নামের পাশে উইকেট থাকতো আরো বেশি।
যে দিকে নজর দিতে হবে
মুস্তাফিজ বরাবরই ইনজুরি প্রবন। এজন্য দায়ী তাঁর ফিটনেস। ফিটনেসে উন্নতি করতে হবে তাকে। তিনি এখনো আগেরমত স্লোয়ার কাটার নির্ভর। ইয়র্কার দেয় না বললেই চলে, বলের গতিও কমে গেছে। উইন্ডিজ সিরিজে বেশিভাগ ম্যাচেই শট বল করেছেন কখনো সফল হয়েছেন আবার কখনো ব্যর্থ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকতে হলে বোলিংয়ে আরো ভ্যারিয়েশন আনতে হবে ফিজকে। অন্যথায় হারিয়ে যাবেন কালের অতল গহ্বরে।