শুক্রবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:৪৭:৩০

দিল্লিতেও কাঁদছে হাশিম আমলারা

দিল্লিতেও কাঁদছে হাশিম আমলারা

স্পোর্টস ডেস্ক: ভারতের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজ হেরে যাওয়ার পর মেস রেফারি থেকে শুরু করে আইসিসি পর্যন্ত মোহালি ও নাগপুরের পিচ নিয়ে সমালোচনা করেছে। কিন্তু শুক্রবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামেও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানেরা সুবিধা করতে পারেনি। এই স্টেডিয়ামটি অবশ্য ওই দুটোর মতো নয়। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ প্রোটিয়া শিবির। আজিঙ্কা রাহানের সেঞ্চুরিতে ভারত প্রথম ইনিংস যেখানে শেষ হয়েছে ৩৩৪ রানে, সেখানে মাত্র ১২১ রানেই অলআউট হয়ে গেছে আমলা বাহিনী। ভারতে পক্ষে জাদেজা সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন। চা বিরতি পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থা ভালোই ছিল। ১ উইকেটে ৩৮ রান ছিল তাদের। কিন্তু এরপর তারা ভেঙ্গে পড়তে থাকে। সফরকারীরা শেষ সেশনে ৮৩ রানে হারিয়েছে ৯ উইকেট। তাতে ফলো অন থেকে ১৪ রানে দুরে থাকলো প্রোটিয়ারা। ভারত অবশ্য নিশ্চিত করেছে, প্রতিপক্ষকে ফলো অন করাবে না। আলোর স্বল্পতার জন্য দ্বিতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা হয়নি স্বাগতিকদের। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের বেশির ভাগ আউট হয়েছেন বাজে ফুটওয়ার্ক ও লেংথ বিচার করতে ভুল করায়। উদাহরণ দেখুন। টেম্বা বাভুমা ও অধিনায়ক হাশিম আমলা জাদেজার এমন বলকে কাট করতে গেছেন যেটি ততোটা শর্ট ছিল না। জেপি ডুমিনি ও ডেন ভিলাস বোল্ড হয়েছেন। রিভার্স সুইংয়ে ক্রিজ থেকে তাদের পা সরেনি। কেবল এবি ডি ভিলিয়ার্স স্বাভাবিক ব্যাট করতে পেরেছেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে তাকেও ঝুঁকি নিতে হয়েছে। উইকেটে নেমে এসে জাদেজাকে উড়িয়ে মেরেছেন ডি ভিলিয়ার্স। ইশান্ত শর্মার হাতে ধরা পড়েছেন। টেস্টে এক ইনিংসে চতুর্থবারের মতো ৫ উইকেট পেয়েছেন জাদেজা। প্রোটিয়াদের বাকি দুই অঙ্কের রান করা ব্যাটসম্যানরা হলেন ডিন এলগার (১৭), বাভুমা (২২) ও ডেন ভিলাস (১১)। এর আগে ৭ উইকেটে ২৩১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। রাহানের রান ছিল ৮৯। খেলার শুরুতে ভারতের ৮৫তম ওভারে নতুন বল নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু উইকেট থেকে সুবিধা তুলে নেয়া যাচ্ছিল না। অবশ্য কাইল অ্যাবটের বলে অশ্বিন ক্যাচ দিয়েছিলেন। স্লিপে কঠিন ক্যাচটা নিতে পারেননি হাশিম আমলা। এরপর রাহানের সাথে অশ্বিনের জুটি ভাংতে কষ্টই হয়েছে প্রোটিয়াদের। অ্যাবটকে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রাহানে। স্পিনার এনেছে প্রতিপক্ষ। চড়াও হয়েছেন রাহানে। অফ স্পিনার ডেন পিটের তিন বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়েছেন রাহানে। ডিন এলগারকে তুলে মেরেছেন। হয়েছে বাউন্ডারি। অপ্রতিরোধ্যই লাগছিল তাকে। শেষ পর্যন্ত ইমরান তাহিরকে তুলে মারতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দিয়েছেন রাহানে। ১২৭ রান করেছেন। তারপরও অশ্বিন আক্রমণ করে খেলেছেন। সুযোগ পেলেই শট খেলে করেছেন ৫৬ রান। তাহিরকে ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। উমেশ যাদবের সাথে মূল্যবান ৩০ রানের জুটি গড়েছেন। ৮ উইকেটে ৩২৬ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় ভারত। লাঞ্চের পর পঞ্চম ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়েছে তারা। শেষ দুই উইকেট নিয়েছেন অ্যাবট। ২৪.৫ ওভার বল করে ৪০ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ৪ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটি নিউজ২৪/জুবায়ের/রাসেল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে