বুধবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ০৮:৩০:০৫

এই জরাজীর্ণ বাড়িতেই যন্ত্রণায় কাতর জাতীয় দলের দরিদ্র এই ক্রিকেটার!

এই জরাজীর্ণ বাড়িতেই যন্ত্রণায় কাতর জাতীয় দলের দরিদ্র এই ক্রিকেটার!

স্পোর্টস ডেস্ক: বাড়িটি চিনতে কোনো অসুবিধা হবে না। রাজশাহী নগরীর দরগাপাড়া এলাকায় গিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞেস করুন বাড়িটির কথা। পেয়ে যাবেন পথ। কিন্তু বাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে আদৌ কি বিশ্বাস হবে, এটা সাবেক জাতীয় দলের নিয়মিত একজন ক্রিকেটারের বাড়ি? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এই জরাজীর্ণ বাড়িতে শুয়েই যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন চামেলী খাতুন।

গত দুদিন ধরেই মিডিয়ায় নিয়মিতভাবে সাবেক এই ক্রিকেটারের দুঃখগাঁথা প্রচার হচ্ছে। লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়াসহ মেরুদণ্ডে হাড়ের ব্যথা রয়েছে চামেলির। হাড়ের ডিস্কগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। অবশ হয়ে গেছে শরীরের ডানপাশ। সাকিব-মুস্তাফিজরা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। সহায়তা করেছেন রাসিক মেয়রও। কিন্তু কেন একজন জাতীয় ক্রিকেটারের জীবনে এমন দুর্যোগ নেমে আসবে?

১৯৯৯ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত প্রায় ১২ বছর জাতীয় ক্রিকেট দলকে সার্ভিস দিয়েছেন চামেলী। ২০১০ সালে দল এশিয়া কাপ রানার্সআপ হওয়ার পেছনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ওই বছরেই জিম করতে গিয়ে মেরুদণ্ডের নিচে ব্যথা পান। ব্যথা হলেও কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়নি তার। পরের বছর জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে পাকাপাকিভাবে আনসার বাহিনীতে যোগ দেন। ব্যথা নিরাময়ের ওষুধ খেয়েই চাকরি করেছেন দরিদ্র এই ক্রিকেটার। তারপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়।

চামেলিদের বাড়িটা ভাঙাচোরা, দুই কক্ষের। এই দুই কক্ষেই থাকেন চামেলি, তার বাবা রুস্তম আলী, মা মনোয়ারা বেগম এবং অবিবাহিত বড় বোন চম্পা খাতুন। চামেলির আয়েই চলে পুরো সংসার। বৃদ্ধ মায়ের জন্য প্রতি সপ্তাহে ৬০০ টাকার ওষুধ লাগে। আর চামেলির সুস্থ হতে লাগবে ১০ লক্ষ টাকা।চামেলিকে বোর্ডের একজন 'বুদ্ধি' দিয়েছিলেন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে। মিডিয়া তার দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু দেশের নারী ক্রিকেটারদের প্রতি কতটা দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে?

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে