সোমবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:৫২:০৭

জাতীয় দলের খেলোয়াড় এখন নুডুলস্ বিক্রেতা

 জাতীয় দলের খেলোয়াড় এখন নুডুলস্ বিক্রেতা

স্পোর্টস ডেস্ক: ভাগ্যের লিখন হয় না খন্ডন। ভাগ্য মানুষকে কখন যে কোথায় নিয়ে যায় তা কেউই কল্পনা করতে পারে না। শুনলেই অবাক হবেন ভারতীয় জাতীয় দলের এক খেলোয়াড়ের গল্প শুনলে। পুষ্পা গুপ্তা, দেশের হয়ে খেলে পেয়েছেন অনেকগুলো মেডেল, বয়ে এনেছেন সম্মান। কিন্তু আজ সেই মেডেলগুলো পড়ে থাকে ঘরের কোণে থাকা অন্ধকার এক আলমারির ভেতরে। আর পেট চালানোর তাগিদে ভারতের অন্যতম সেরা এ শুটার এখন রাস্তায় নুডলস্ বিক্রি করেন। শুটিং, প্র্যাকটিস সব আজ অতীত। কাউকেই তিনি এখন আর পাশে পান না। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে এগোতে গিয়ে কখন যেন এগিয়ে চলার গতিটাই থমকে গেছে। শেষ পর্যন্ত নিয়তির কাছে হার স্বীকার করে খেলা ছেড়ে সংসারের হাল ধরতে বাধ্য হন তিনি। দেড় বছর ধরে বন্দুক নয়, নুডলসের প্লেট আর দোকান চলে তার সেই হাত দিয়ে। এটাই যে আজ তার রুটিরুজি। তবে মেডেলগুলো নুডলসের দোকানেও ঝোলানো থাকে মাঝে মধ্যে। এ বিষয়ে পুষ্পা বলেন, ‘২০১৩ সালে আমি কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। হঠাৎ করেই যেন মনে হয়েছিল শুটিংয়ে আমার স্কিল আছে। তাই একপ্রকার জোর করেই এনসিসিতে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলাম। শুটিংয়ে গুজরাটের হয়ে প্রতিনিধিত্বও করেছিলাম। আর এই খেলাটা আমার সত্যিই খুব ভালো লেগে গিয়েছিল। কিন্তু এনসিসি কোর্স শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমার পরিবারের পক্ষে এই খেলার খরচ চালানো বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তাই বাবা শুটিং ছেড়ে দিতে বলেন। পেট চালানোর দায়ে এই ব্যবসা শুরু করতে বাধ্য হয়েছিলাম। প্রায় দেড় বছর বন্দুকে হাত দিইনি।’ পুষ্পার বাবা দীনেশ কুমার গুপ্তার গলায়ও অভিমানের সুর। কথায় ঝরে পড়ে আক্ষেপ-ক্ষোভ। বললেন, ‘কেউ একটু সাহায্য করলো না। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নারীদের ক্ষমতায়নের কথা বলেন। কিন্তু আদতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। যদি আমার মেয়ে স্পোর্টস অথরিটির কাছ থেকে কোনোরকম সাহায্য পায়, তাহলে তাকে আর নুডলস্ বিক্রি করতে হবে না। সে দেশকে অনেক সম্মান এনে দেবে।’ এদিকে শচীন তেন্ডুলকার, সাইনা নেহওয়াল, সানিয়া মির্জা, বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি, বাইচুং ভুটিয়া, সর্দার সিং, অভিনব বিন্দ্রারা দেশের মানুষের আজ আইডল। তাদের দেখেই বড় হতে চান কোটি কোটি ভারতীয়। কারণ একের পর এক প্রতিযোগিতায় জিতলে তাদের জন্য থাকে প্রাইজ মানির ছড়াছড়ি। কেন্দ্র, রাজ্যে যেন হুড়োহুড়ি পড়ে যায় তাদের নিয়ে। কিন্তু পুষ্পাদের পাশে কেউ দাঁড়ায় না! সূত্র : বাংলামেইল ৭ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে