স্পোর্টস ডেস্ক: একদম ‘মনের মতো’ একজন পেসার পেয়েছেন কোচ! প্রথমবার বাংলাদেশ দলে আসা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার খালেদ আহমেদকে বেশ মনে ধরেছে হেড কোচের, সেটি প্রকাশ করতেও সময় নেননি। ‘খালেদকে দেখে আমি খুবই মুগ্ধ, বিশেষ করে সিলেটে অনুশীলনে তার বোলিং দেখে।
সে ঘরোয়া লিগে ১০ উইকেট পেয়ে এখানে এসেছে। ফ্ল্যাট উইকেটে এমন বোলিং ফিগার নজরকেড়ে নেয়ার মতো। সে যথেষ্ট লম্বা এবং বোলিংয়ের সময় উইকেটে জোড়ে আঘাত করে। বেশিরভাগ কন্ডিশনে ভালো বোলিং করার মতো একজন বোলার সে।’
জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেট বিভাগের হয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট শিকারের দিনই খালেদের ডাক আসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দলে। অনুশীলনে কোচদের সঙ্গে তার দুষ্টুমি, খুনসুটি, আর স্বতঃস্ফূর্তটা দেখলে কেউ বুঝতেই পারবে না খালেদ জাতীয় দলে নতুন মুখ!
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের নেটে বোলিং অনুশীলনের পর জোড়া বেধে ব্যাটিং অনুশীলন করেন দুই লোকাল বয় খালেদ ও রাহি। খালেদকে আউট করতে নেট বোলারদের সঙ্গে বল হাতে নেন কিংবদন্তি পেসার, বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশও। এলবিডব্লিউর আবেদন নিয়ে বেধে যায় হট্টগোল। ওয়ালশ নিশ্চিত সেটি আউট ছিল। খালেদ উইকেটে অনড় আউট না বলে।
পাশের নেটে দাঁড়ানো হেড কোচ রোডসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অবশ্য কারও পক্ষই নেন না। মাথা ঝাঁকিয়ে বোঝান, কিছুই দেখেননি! পরে বোলিং প্রান্তের স্টাম্পের পেছনে আম্পায়ারের ভূমিকায় মোস্তাফিজ দাঁড়ালে হট্টগোল থামে।
গুরু-শিষ্যের মজা চলে আরও কিছুক্ষণ। সিলেট স্টেডিয়ামের টেস্ট অভিষেকের মঞ্চে খালেদের আন্তর্জাতিক অভিষেকের সম্ভাবনা যে জোরাল, সেটির পূর্বাভাসই যেন অনুশীলনে এসব চিত্র!