মঙ্গলবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:০৪:২৮

কোটি মানুষের প্রাণের বিপিএল নিয়ে এখন এ কি হচ্ছে!

কোটি মানুষের প্রাণের বিপিএল নিয়ে এখন এ কি হচ্ছে!

স্পোটর্স ডেস্ক : একদিকে ব্যাংকে টিকিটের জন্য লম্বা লাইন, অন্যদিকে লাগামহীন কালোবাজারি। বিআরবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল টি২০) টিকিট এখন চাইলেই পাওয়া যায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামসংলগ্ন খাবার হোটেল ও মুদির দোকানে। এমনই দৃশ্য দেখা গেল মিরপুর ২ নম্বরস্থ খবার হোটেল পূর্ণিমাতে। কয়েকজন লোক এসে টিকিট চাইতেই হোটেলের ম্যানেজার জানালেন পাওয়া যাবে। তখনই ক্রেতা জানালেন তার ৯টি টিকিট প্রয়োজন। কথামতোই কাজ হলো। পূর্ণিমার ম্যানেজার মোবাইল ফোন বের করে কল দিয়ে কথা বললেন। জানালেন টিকিট হবে কিন্তু নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ১০০ টাকা বেশি দিতে হবে। এ নিয়ে দরদামের পর ক্রেতা রাজি হতেই জানিয়ে দেয়া হলো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেই টিকিট চলে আসবে। টিকিট নিয়ে এমন কালোবাজারির অভিযোগ অনেক দর্শকেরই। জানা গেল, শুধু খাবারের দোকানই নয়, শেরেবাংলা মাঠসংলগ্ন বেশ কয়েকটি মুদির দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে এবারের বিপিএলের ম্যাচ টিকিট। দুই দর্শক মাহবুব ও খোকন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা জানি না বিপিএলের টিকিট কোথায় পাওয়া যাবে। এ নিয়ে বিসিবি থেকে এবার কোনো প্রচারও করা হয়নি। তবে শুনেছি ঢাকা ব্যাংকে পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে লম্বা লাইন ধরেও টিকিট পাওয়া যায় না। এখানেও একটি বুথ আছে। কিন্তু সেখানে যাওয়াই যায় না। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের ১০০ টাকারটা ২০০ টাকায়, ১৫০ টাকারটা ২৫০ টাকায় কিনতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশিতেই কিনতে হয়েছে।’ টিকিট নিয়ে হাহাকার থাকলেও দর্শক গ্যালারির অনেক সিট খেলার সময় খালি পড়ে থাকে। কিন্তু শেরেবাংলা মাঠের ফটকগুলোতে ঘুরতে দেখা যায় অসংখ্য দর্শককে। দেখা যায়, তারা হন্যে হয়ে টিকিট খুঁজছেন। আর টিকিট শেষ পর্যন্ত পেলে সেটি কিনতে হচ্ছে চড়ামূল্যে। এ বিষয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘আমরা ঢাকা ব্যাংকের মাধ্যমে এবার টিকিট বিক্রি করছি। এ ছাড়া অনলাইনেও টিকিট পাওয়া যায়। কিন্তু মুদির দোকান বা খাবার হোটেলে কীভাবে টিকিট বিক্রি হচ্ছে তা আমি জানি না। হতে পারে কেউ ব্যাংক থেকে কিনে এনে তা বিক্রি করছেন। তবে এ বিষয়টি আসলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে। তারাই পারে এসব বন্ধ করতে। বিষয়টি নিয়ে কী করা যায় তা দেখবো আমরা।’ অন্যদিকে ব্যাংক আর অনলাইন থেকে এককভাবে খুব বেশি টিকিট কেনার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে একাধিক সূত্র জানায়, বিসিবির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যক্তিই নানাভাবে টিকিট সংগ্রহ করে বাইরে কলোবাজারে বিক্রি করছে। এজন্য তারা বিসিবির গেটের বাইরে দোকানগুলোকে বেছে নিয়েছে। যেন দর্শকদের টিকিটের চাহিদা জেনে সেই টিকিট দোকানগুলোতে দ্রুত পৌঁছে দিতে পারে।-এম জমিন ৮ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে