স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৯ সালের মাধ্যমিক (এসএসসি) পরীক্ষায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উদ্দীপকে এশিয়া কাপে ভাঙা হাত নিয়ে মাঠে নামা তামিমের সাহসিকতার ঘটনা এবং মুশফিকের দৃঢ়তা নিয়ে প্রশ্ন এসেছিলো।
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্রিকেট মাঠের এই ঘটনা অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় গর্বিত তামিম। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, শিক্ষা বোর্ডের প্রতি।এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে হাতে গুরুতর ব্যাথা পেয়ে খেলার শুরুতেই মাঠ ছাড়েন তামিম ইকবাল। অপরদিকে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত বুক চিতিয়ে লড়াই করা মুশফিককে হয়তো থেমে যেতো হতো সঙ্গীর অভাবে।
কিন্তু দলের প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আবার ব্যাট হাতে নেমে পড়েন তামিম। এরপর ব্যাট করেছিলেন এক হাতে। দেশ-বিদেশের ক্রিকেটে খুব প্রশংসিত হয় তামিমের এই সাহসিকতা।
এই ঘটনা এইবার এসএসসি পরীক্ষাও উঠে এসেছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ঐ ঘটনা স্থান পাওয়ায় গর্বিত ড্যাশিং এই ওপেনার, “আমি জানি এসএসসি পরীক্ষা আমাদের সবার জীবনে কত গুরুত্বপূর্ণ। ওখানে একটা ছোট পার্ট, আমার নামও আছে। এটা অবশ্যই গর্বের বিষয়।”
সাথে সাথে ভক্তদের উদ্দেশ্যেও কিছু বার্তা ছুঁড়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল, “যারা আমাকে আইডল মানেন, আমার দায়িত্বগুলো আশা করি আমি ঠিকভাবে পালিন করছি। আমি চেষ্টা করবো যাতে সবকিছু আরো ভালোভাবে করতে পারি। যেনো মানুষের আইডল হতে পারি।”
বিপিএলের ফাইনালে ১৪১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন তিনি। ম্যাচসেরা পুরস্কার নেয়ার সময় কোলে করে নিয়ে যান ছেলে আরহাম ইকবাল খানকে।
ছেলের প্রসঙ্গে তামিম বলেন, “ওর জন্য তো অবশ্যই একটা মেসেজ থাকবে কিন্তু ও বড় হয়ে কোন ফিল্ডে যায় সেটা ওর ওপর ডিপেন্ড করে। সে যদি স্পোর্টসের আসতে চায় তাহলে একরকম আবার যদি অন্য কোন পেশায় যেতে চায় সেটা অন্য জিনিস। সত্যি কথা বলতে, আমি আশা করি একজন ভালো বাবা হতে পারবো।”