শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:৪৩:০৬

পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে যা বললেন কোহলি

পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে যা বললেন কোহলি

স্পোর্টস ডেস্ক : মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে তার হালফিল সম্পর্ক নিয়ে নানা মুখরোচক জল্পনা ছড়িয়েছে এত দিন। অনবরত তুলনা চলেছে দু’জনের অধিনায়কত্বের। মিডিয়া বারবার টেনে এনেছে দু’জনের বর্তমান সম্পর্ককে। শুক্রবার মুম্বইকে তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা ছাড়াও মনে রাখার কারণ আছে যথেষ্ট। শুক্রবার এটাও পরিষ্কার হয়ে গেল, পূর্বসূরি সম্পর্কে কতটা সশ্রদ্ধ বর্তমান। বিরাট কোহলি বলে দিলেন, এমএসডিকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করেন। ধোনির বরফশীতল মস্তিষ্কটা নিতে চান। বিশ্বকাপ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এই বিষয়টি পুরোপুরি রপ্ত করতে চান কোহলি। আরবসাগরের তীরবর্তী শহরে এ দিন ক্রিকেটীয় উপাদানের অভাব ছিল না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে নাড়াচাড়া এত দিন বন্ধ ছিল। মার্চে টুর্নামেন্ট আর ফাইনালটা কোথায়, এর বাইরে বিশেষ কিছু বলা হয়নি আইসিসির তরফ থেকে। এ দিন হল। ৮ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট। শুরুর দিকে কোয়ালিফায়ারে থাকবে দু’টো গ্রুপ। একটায় বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, ওমান (প্রথম বার)। অন্য গ্রুপে জিম্বাবোয়ে, স্কটল্যান্ড, হংকং এবং আফগানিস্তান। যেখান থেকে দু’টো টিম যাবে সুপার টেনে। ভারত টুর্নামেন্টে নামছে ১৫ মার্চ। নাগপুরে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এবং চার দিন পরেই মহাদ্বৈরথ—ভারত-পাকিস্তান। যা হবে বোর্ড সচিব অনুরাগ ঠাকুরের শহর ধর্মশালায়। সুপার টেনে গ্রুপ-টুতে ধোনিদের সঙ্গে আছে পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং একটা কোয়ালিফায়ার টিম। যে টিমের সঙ্গে ২৩ মার্চ বেঙ্গালুরুতে খেলবেন ধোনিরা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে গ্রুপের শেষ ম্যাচ, মোহালিতে। ২৭ মার্চ। প্রথম সেমিফাইনাল নয়াদিল্লিতে (৩০ মার্চ)। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল মুম্বইয়ে (৩১ মার্চ)। ৩ এপ্রিলের ফাইনাল মঞ্চ আগে থেকেই ঠিক ছিল— ইডেন গার্ডেন্স। ১৯ মার্চ ভারত-পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে কোহলিও ছিলেন। সেখানে তিনি বলে ফেলেন, ‘‘২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাটা ভারতীয় ক্রিকেটের একটা মাইলস্টোন ছিল। জয়টা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তার আগে টি-টোয়েন্টি নিয়ে তেমন ধারণা কারও ছিল না। অসম্ভব গর্বের একটা দিন ছিল ওটা।’’ আট বছর আগে জোহানেসবার্গে ভারত-পাক কাপ ফাইনাল নামের থ্রিলার চলছে, ভারতীয় টেস্ট অধিনায়কের বয়স সবে উনিশ। ‘‘গোটা দেশের মতো আমিও ম্যাচটা দেখছিলাম। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতেছিলাম। ওই জয় থেকে যে বিশ্বাসটা পেয়েছিলাম, সেটাই চার বছর পর দেশের মাঠে প়ঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করে,’’ বলে দেন কোহলি। যার পর তাঁর গলায় ধোনি-মুগ্ধতাও বেরিয়ে আসে। ‘‘অধিনায়ক হিসেবে ধোনি সব কিছু জিতেছে। ওর নেতৃত্বে টিম টেস্টে এক নম্বর হয়েছে। ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টিতেও হয়েছে। ধোনির আর পাওয়ার কিছু নেই। আমি ওকে বহু দিন ধরে দেখছি। দেশের জন্য ধোনি যা যা করেছে, তার জন্য ওকে আমি শ্রদ্ধাও করি।’’ ধোনির কোন জিনিসটা তিনি শিখতে চান? বিরাটের জবাব, ‘‘ধোনি যে ভাবে অসম্ভব চাপের মধ্যেও নিজেকে ঠান্ডা রাখে, সেটা শিখতে চাই। হালফিলে আমি সেটা করেওছি। তবে আমি সব সময়ই শিখে চলেছি।’’ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও মুখ খুলেছেন কোহলি। তাঁর মনে হচ্ছে, ভারতে টুর্নামেন্ট হচ্ছে বলে ভারতই ফেভারিট, বলা যাবে না। ‘‘ঘরের মাঠে খেলা কতটা সুবিধে করে দেবে, জানি না। ২০০৭ বিশ্বকাপের পরই সবাই বুঝে গিয়েছে টি-টোয়েন্টি কী। তার পর আইপিএল এসেছে। বিশ্বের সমস্ত প্লেয়ার এখানে খেলে অভ্যস্ত। ভারতের পরিবেশ-পরিস্থিতি সব ওরা জানে। যে কোনও টিমকেই ফেভারিট বলা যেতে পারে।-আনন্দবাজার ১২ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে