বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১২:১০:৪৩

২০১৫ বিপিএলের হাইলাইটস

২০১৫ বিপিএলের হাইলাইটস

স্পোর্টস ডেস্ক : ২০১৫ বিপিএলের হাইলাইটস এখন ভক্তদের আয়নায়। ২০১৫ বিপিএল কতটা জমজমাট হয়েছে সে চিত্র বহন করছে আসরের নানা দিক। একমাত্র সেঞ্চুরি এভিন লুইস, বরিশাল বুলস বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরে একমাত্র সেঞ্চুরি এসেছে এভিন লুইসের ব্যাট থেকে। আসরের ১৬তম ম্যাচে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে তিনি ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৩ বছর বয়সী এ ব্যাটসম্যান ৬ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৫ বলে এই রান করেন। ক্যারিয়ারের ৩৫ টি-টোয়েন্টি এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। ওই সেঞ্চুরি ছাড়া এবারের বিপিএলে তার উল্লেখযোগ্য ইনিংস নেই। বাকি ৬ ইনিংস মিলে করেছেন ৪৪ রান। সর্বোচ্চ ১৫ রান ছিল এবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে। লুইসের সেঞ্চুরি করা ম্যাচে বরিশাল জেতে ৮ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। ঢাকার ছুড়ে দেয়া ১৫৯ রানের টার্গেটে তারা একমাত্র রনি তালুকদারের উইকেট হারায় ৩৮ রানে। সেরা বোলিং কেভন কুপার, বরিশাল বুলস এবারের আসরে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ৩ জন বোলার- বরিশাল বুলসের দুইজন কেভন কুপার ও আল-আমিন হোসেন এবং রংপুর রাইডার্সের থিসারা পেরেরা। তবে সেরা বোলিং ফিগারে শীর্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৬ বছর বয়সী মিডিয়াম ফাস্ট বোলার কেভন কুপার। আসরের চতুর্থ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তিনি মাত্র ৩.৭৫ ইকোনমিতে ১৫ রানে নেন ৫ উইকেট। ওই ম্যাচে বরিশাল ১৫৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল। কুপারের বোলিং তোপে পড়ে শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত খেলে ১৪২ রানে অলআউট হয় সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স। এবারের আসরে সর্বোচ্চ ২২ উইকেটের মালিকও বরিশালের কেভন কুপার। এ ছাড়া উইকেটপ্রতি গড় রান দেয়ায় দ্বিতীয় সেরা কুপার। তিনি ৯ ম্যাচে ২০৫ রানে ৯.৩১ গড়ে নিয়েছেন ২২ উইকেট। গড়ে শীর্ষে আছেন কানাডার খেলোয়াড় নিখিল দত্ত। অবশ্য তিনি মাত্র এক ম্যাচ খেলেছেন। গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে বরিশাল বুলসের হয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে তিনি ৬.০০ গড়ে ১৮ রানে নেন ৩ উইকেট। দলীয় সর্বোচ্চ রান ১৮৮ : চিটাগং ভাইকিংস আসরে কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ১৮৮ রান। সেটা এসেছিল বিআরবি-বিপিএলের তৃতীয় আসরের প্রথম ম্যাচে। চিটাগং ভাইকিংস উদ্বোধনী ম্যাচে করে ১৮৭ রান। যা এবারের আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এই রান তাড়া করতে নেমে রংপুর রাইডার্স ইনিংসের শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে। তাদের রান দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৮৮ রান। আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৮০ রানের ইনিংসও চিটাগং ভাইকিংসের। তৃতীয় ম্যাচে সিলেট সুপার স্টারসের বিপক্ষে তারা এই রান করে। সিলেট এই রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র এক রানে হারে। সর্বনিম্নের লজ্জা ৫৮ : বরিশাল বুলস আসরের ৩৪ ম্যাচে সর্বনিম্ন রানের লজ্জা বরিশাল বুলসের। ২১তম ম্যাচে সিলেট সুপার স্টারসের বিপক্ষে তারা ১৬ ওভারে মাত্র ৫৮ রানে অলআউট হয়। জবাবে সিলেট ১১.২ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়। অবশ্য নিজেদের পরের ম্যাচে সিলেটই এবার লজ্জায় পড়তে যাচ্ছিল। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তারা অলআউট হয় ১১.৫ ওভারে মাত্র ৫৯ রানে। একটুর জন্য বরিশালের সর্বনিম্ন রানের লজ্জা রেকর্ড এড়ায় তারা। তবে বিপিএলের তিন আসরে এই দুই ইনিংসই সর্বনিম্ন। সবচেয়ে বড় জয় ৭২ রান : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১০ উইকেট : চিটাগং ভাইকিংস এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের দুই জয়ই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে তারা রংপুর রাইডার্সকে সর্বোচ্চ ৭২ রানের ব্যবধানে হারায়। কুমিল্লার ১৬৩ রানের জবাবে রংপুর ১৭ ওভারে মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায়। আর তাদের ৭১ রানের জয় সিলেট সুপার স্টারসের বিপক্ষে আসরের ২৯তম ম্যাচে। আর সর্বোচ্চ উইকেটের ব্যবধানের জয় চিটাগং ভাইকিংসের। আসরের ১ম ম্যাচে সিলেট সুপার স্টারসের ১৩৯ রানের জবাবে চিটাগং ২৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে জয় তুলে নেয়। তামিম ইকবাল ও তিলকারত্নে দিলশান ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন। রেকর্ড কণিকা দলীয় সর্বোচ্চ: ১৮৮/৮ রংপুর প্রতিপক্ষ চিটাগং দলীয় সর্বনিম্ন: ৫৮ বরিশাল প্রতিপক্ষ সিলেট ম্যাচে সর্বাধিক রান: ৩৭৫ রংপুর-চিটাগং বড় হারজিত (রানে): ৭২ কুমিল্লা-রংপুর বড় হারজিত (উইকেটে): ১০ উইকেট চিটাগং-সিলেট ইনিংসে অতিরিক্ত রান: ২৩ রংপুর ১৩৬/৪ প্রতিপক্ষ ঢাকা ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ: ১০১* এভিন লুইস বরিশাল-ঢাকা সেরা ব্যাটিং গড়: ১৪২.০০ মারলন স্যামুয়েলস (কুমিল্লা) সর্বাধিক ‘শূন্য’ : ৩ ইমরুল কায়েস (কুমিল্লা) সর্বাধিক ছক্কা: ১২ ক্রিস গেইল (বরিশাল) ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কা: ৯ গেইল বরিশাল-চিটাগং সেরা বোলিং গড়: ৬.০০ (৪ ওভার ৩/১৮) নিখিল দত্ত (বরিশাল) সেরা ইকোনমি গড়: ৪.০০ (৩ ম্যাচ, ৭ ওভার) ড্যারেন স্টিভেন্স (কুমিল্লা) ইনিংসে সেরা ইকোনমি: ১.২৫ (৪ ওভার) শহিদ আফ্রিদি সিলেট-বরিশাল সর্বোচ্চ জুটি: ১৪০* তামিম-দিলশান, চিটাগং-সিলেট সর্বাধিক ক্যাচ: ১০ মাহমুদুল্লাহ (বরিশাল), থিসারা পেরেরা (রংপুর) সর্বাধিক ডিসমিসাল: ১৩ কুমার সাঙ্গাকারা (ঢাকা), ১২ রনি তালুকদার (বরিশাল), ১১ মুশফিকুর রহীম (সিলেট) ইনিংসে সর্বাধিক ডিসামসাল: ৪ সাঙ্গাকারা ঢাকা-চিটাগং, রনি বরিশাল-চিটাগং -(মানব জমিন) ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে