বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:৪৬:৪০

যেভাবে ক্রিকেট খেলাটা আয়ত্ত করেছেন সাঙ্গাকারা

যেভাবে ক্রিকেট খেলাটা আয়ত্ত করেছেন সাঙ্গাকারা

স্পোর্টস ডেস্ক: আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে অতি সুপরিচিত নাম কুমার সাঙ্গাকারা। শ্রীলঙ্কান এই ক্রিকেটার দেশের হয়ে খেলা থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিনি খেলে চলেছেন স্বমহিমায়। সদ্যশেষ হওয়া বিপিএলের তৃতীয় আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশের খেলতে এসে বেসরকারি টেলিভিশনের একটি সাক্ষাৎকারে জানালেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিভাবে তিনি একজন পরিপূর্ন ক্রিকেটার হয়ে উঠেছিলেন। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস অনেক বড় মাপের ক্রিকেটার ছিলেন, অসাধারণ ব্যাটসম্যান, প্রায় অতি প্রাকৃতিক ধরনের। ছোটবেলায় তার খেলা দেখে খুবই প্রভাবিত হতাম, কঠিন পরিস্থিতিতে যে ধরনের ব্যাটিং তিনি করতেন সহজাত দক্ষতার সাথে। সেটা তাকে একটা পরিপূর্ন ক্রিকেটার বানিয়েছিল। তিনি ক্রিকেট খেলতেন সৎ ও কঠোরভাবে এবং সব চ্যালেঞ্জকেই একই মানসিকতা মোকাবেলা করতেন। এক রান হোক অথবা সেঞ্চুরী হোক তিনি সবসময়ে একটা গর্বের সাথে ব্যাট করতেন। তাকে অনেকে নিজের আর্দশ মনে করেন। আমিও করতাম। স্যার ভিভের পরই আসে ব্রায়ান লারার নাম। আমার কাছে লারা সেরা। খুব ইচ্ছা করে তার মতো করে ব্যাট করতে। তারা একটি অসাধারন ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের দুই অসাধারন ব্যাটসম্যান। আমার ক্রিকেটার হবার পেছনে এই দুই জনের প্রভাব অনেক বেশি। সেদিন সাক্ষাৎকারে সাঙ্গা আরো জানালেন, তার ক্রিকেট দর্শনের কথা। আমার মনে সবসময় ভালো ক্রিকেট জন্ম দেয়। তাছাড়া লারা, ভিভ ও শ্রীলংকার অরবিন্দ ডি সিলভার মতো ব্যাটসম্যানরা যখনই ব্যাট করতেন ওয়ানডে হোক কিংবা কিংবা টেস্ট দর্শকরা ভিড় করতো তাদেরকে দেখতে। কারন আমাদের মতো সাধারনদের কাছে তারা যেভাবে খেলতেন , বাউন্ডারি মারতেন কিংবা বোলারকে চাপে ফেলতে সেটা দেখাটা ছিল শিক্ষণীয়। এদের থেকে অনেকে শিখছে, তবে আমার দর্শনটা আলাদা। কারন আমি তাদের মতো ভাল নই। দল ও ফলাফলের নিজের সীমিত সামর্থ্য দিয়েই কিভাবে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে পারি সেটাই ছিল আমার দর্শন। চেষ্ঠা করতাম যেন সব সময় যেন রান করতে পারি। এজন্য কঠোর অনুশীলন করতাম যেন মাঠে ঠিকমতো খেলতে পারি। এভাবে আস্তে আস্তে ক্রিকেট খেলা কিছুটা আয়ত্ত করতে সক্ষম হই। সূত্র- ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ১৭ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে