বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১০:২৪:৩৮

মেসি-নেইমারকে ছাড়াই ম্যাজিক দেখালেন সুয়ারেজ

মেসি-নেইমারকে ছাড়াই ম্যাজিক দেখালেন সুয়ারেজ

স্পোর্টস ডেস্ক: চোটের কারণে নেইমার আর কিডনীতে পাথর ধরা পরায় ম্যাচ শুরুর আগে মেসি ছিটকে পড়লেও বার্সা ভক্তদের দারুণ সুখবর দিয়েছেন সুয়ারেজ। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আজ মেসি-নেইমারহীন বার্সাকে দারুণ জয় এনে দিয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। সুয়ারেজের হ্যাট্রিকে এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়ন গুয়াংজুকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে বার্সা। আগামী ২০ ডিসেম্বর ফাইনালে রিভারপ্লেটের সঙ্গে লড়বে বার্সেলোনা। ম্যাচে ৩৮ মিনিট পর্যন্ত গোল শূণ্য ছিল। সে রকম ধারালো আক্রমণও লক্ষ্য করা যায়নি। এক সময় মনে হচ্ছিল খেলোয়াড়রা ছায়ার পেছনে দৌড়াচ্ছে। কিন্তু তার পরও গুয়াংজুর বক্সে ঠিক ওভাবে আক্রমণ করতে পারছিল না। স্কলারির দলের রক্ষণ তো জমাট ছিলই, তার ওপর বার্সাও শেষ পাসটা সঠিকভাবে দিতে পারছিল না। ম্যাচের প্রথম আধা ঘণ্টা তাই মূলত বার্সার এদিক-ওদিক পাস আর গুয়াংজুর দৌড়াদৌড়িতেই কাটল। অবশেষে গোল এল প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে। তাতে গুয়াংজু গোলরক্ষক লির 'অবদান'ও কম নয়। ইভান রাকিতিচের শটটা ধরতে পারা হয়তো খুব একটা কঠিন ছিল না তাঁর জন্য, তবে এ আপাত সহজ কাজটিই করতে পারলেন না লি। তাঁর হাত ফসকে বেরিয়ে গেল বল। পড়বি তো পড় সুয়ারেজের কাছেই! দক্ষ শিকারির মতো পোস্টের কাছ থেকে বলটাকে জালে জড়িয়ে দিলেন সুয়ারেজ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার গোল। প্রথম গোলটি নিয়ে বার্সা সমর্থকদের মধ্যে যদি 'নাহ, গোলটা বার্সার মতো হলো না' ধরনের কোনো অস্বস্তি থেকে থাকে, সেটি মুছে গেল এই গোলে। দ্বিতীয়ার্ধের ৫ মিনিটে দুর্দান্ত দলগত আক্রমণকে তার চেয়েও সুন্দর করে জালে জড়িয়ে দিলেন সুয়ারেজ। নিজেদের অর্ধ থেকে দ্রুত পাঁচটি পাসে গুয়াংজুর বক্সের কাছে বল নিয়ে আসে বার্সা। এরপর গুয়াংজু রক্ষণের ওপর দিয়ে ইনিয়েস্তার দুর্দান্ত চিপ পাস, বুক দিয়ে বলটাকে ধরে মাটিতে পড়ার আগে দুরূহ কোণ থেকে সুয়ারেজের ভলি—গোল! ফিফা চাইলে এই এক গোলের জন্য এখনই বার্সাকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দিতে পারে! জয় নিয়ে কোনো সংশয় এমনিতেই ছিল না, তাতে ৬৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে নিজের হ্যাটট্রিকের সঙ্গে বার্সার বড় জয় নিশ্চিত করে দিলেন সুয়ারেজ। বার্সা স্ট্রাইকার তো পেলেকেও মনে করিয়ে দিলেন একটা কীর্তি দিয়ে। এর আগে ক্লাব পর্যায়ে এই টুর্নামেন্টে হ্যাটট্রিকের একমাত্র কীর্তিটা ছিল কেবল ব্রাজিল কিংবদন্তিরই। ১৯৬২ সালে লিসবনে বেনফিকার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সান্তোসের পেলে। তখন অবশ্য টুর্নামেন্টের নাম 'ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ' ছিল না, তখনকার ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপ খেলা হতো না এমন ফরম্যাটেও। এই সুয়ারেজকে সামলানো এখন রিভার কোচের মাথা ব্যথা। ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪ডটকম/জুবায়ের রাসেল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে