রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:৫৯:৫৭

পূর্বের ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাংলাদেশে আসতে চায় অস্ট্রেলিয়া

পূর্বের ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাংলাদেশে আসতে চায় অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক: টিম অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। নানা জ্বল্পনা-কল্পনাময় ছিল বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজটি। কিন্তু সব ফিকে করে অজিরা অবশেষ জানান দিয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতে খেলবে না তারা। কারণ হিসেবে উল্লেখ্য করেন তথাকথিত জঙ্গি হামলা। তবে অবশেষে বাংলাদেশ সফরের জন্য সময় বের করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তবে মজার ব্যাপার হলো তারা এমন একটি সময় বাংলাদেশে আসতে চায় যে সময়টাতে বাংলাদেশেরই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার সূচি নির্ধারিত হয়ে আছে ফিউচার ট্যুরস প্রোগ্রামে (এফটিপি)। ২০১৭ সালের আগস্টে বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে অলাভজনক সিরিজ আয়োজন না করে উল্টো নিজেরাই একই সময়ে আতিথ্য নেয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। এছাড়া তারা বাংলাদেশে না আসার ক্ষতি দেয়ায়ার ইচ্ছে ‘বিগ থ্রি’-র অন্যতম সদস্য অস্ট্রেলিয়ার। বিষয়টি নিয়ে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির প্রধান নাঈমুর রহমান বলেন ‘বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত করিনি আমরা। অচিরেই অপারেশনসের সভা আছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে।’ পর মুহূর্তেই আবার বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক যোগ করেছেন, ‘আসলে ওরা তো প্রস্তাব আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়। আমাদের তা মেনেও নিতে হয়।’ যে কারণে আরো লম্বা সময়ের জন্য বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফর অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ার নিয়তিও মেনে নিতে হচ্ছে। ২০০৩ সালের পর আর কখনোই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ না খেলা বাংলাদেশ মাঝখানে কেবল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গিয়েছিল ২০০৮ সালে। ১৪ বছর সেখানে টেস্ট আতিথ্য না পাওয়া বাংলাদেশের অপেক্ষা আরো লম্বা হলো সিএ-র নতুন প্রস্তাবে। যদিও নাঈমুর বলছেন যে বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফরও হবে। তবে কবে, সে বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার আগে কিছু বলতেও পারছেন না তিনি, ‘নিশ্চয়ই অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ। সেটি কোন সময়ে, তা আমরা আলোচনায় বসেই ঠিক করব। অবশ্য একই বছর দুটি সিরিজ হওয়া সম্ভব নয়। হয়তো পরের বছরই যেতে পারি আমরা।’ তাঁর ‘হয়তো’-র মধ্যেই লুকিয়ে বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার অনিশ্চয়তা। তবে নাঈমুর অন্য একটি বিষয়ে নিশ্চিত যে, ‘এটা ঠিক যে অস্ট্রেলিয়ার আসাটা বাণিজ্যিক দিক থেকে বিসিবির জন্য লাভজনক হবে। তাই কোনো কিছু এখনো চূড়ান্ত না হলেও বোর্ডের মনোভাব ইতিবাচক।’ তাতে সূচিতে দেশের বাইরে বেশি বেশি খেলা রাখার দাবি উপেক্ষিত হলেও অস্ট্রেলিয়ার চাওয়া তো পূরণ হচ্ছে। তারা যখন আসতে চায়নি, আসেনি। ২০১৭তে আসতে চায়, তবে সেটিও আরেকবার বাংলাদেশের পাওনা সফর স্থগিত করে দিয়ে। এতে আতিথ্য দিয়ে বাণিজ্যিক ক্ষতির আশঙ্কা নেই আবার নিরাপত্তার অজুহাতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল নিয়ে আর কোনো দায়বদ্ধতাও রইল না অস্ট্রেলিয়ার! তথ্যসূত্র : কালের কন্ঠ ২০ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে