শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯, ০৯:৫৬:৫৬

অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন মাত্র ১৩ জন ক্রিকেটার

অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন মাত্র ১৩ জন ক্রিকেটার

স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটের যেকোন ফরম্যাটে পাঁচ উইকেট শিকার করা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। আর সেই অর্জন যদি হয় অভিষেক ম্যাচেই, তাহলে তো সেটা আরো বেশি মূল্যবান। ২০১৬ সাল পর্যন্ত অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন মাত্র ১৩ জন ক্রিকেটার।

এই অর্জনে নাম রয়েছে বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সাউথ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, ও কানাডার ক্রিকেটারদের। তবে এ তালিকায় ভারত, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের কারো নাম নেই। তন্মধ্যে এই অর্জনে সবচেয়ে বেশি শ্রীলঙ্কার তিনজন ক্রিকেটার সামিল রয়েছেন, বাংলাদেশ ও সাউথ আফ্রিকার দু’জন করে রয়েছেন এই তালিকায়।

শ্রীলঙ্কার ইউভাইস কারনাইন প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকে পাঁচ উইকেট লাভ করেন। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে কানাডার অস্টিন কডরিংটন ২৭ রানের বিনিময়ে বিশ্বকাপে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে পাঁচ উইকেট শিকার করেন।

ঐ ম্যাচে বাংলাদেশ ৬০ রানে পরাজিত হয় কানাডার কাছে। অভিষেক ম্যাচে সেরা বোলিং ফিগার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে কাগিসো রাবাদার ১৬ রানের বিনিময়ে ছয় উইকেট।

একনজরে ওয়ানডে অভিষেকে পাঁচ উইকেট লাভকারী বোলারদের তালিকা :

১। ইউভাইস কারনাইন : শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটার ১৯৮৪ সালের ৩১ মার্চ মোরাতুয়ার তাইরোন ফার্নান্দো স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ ওভারে ২৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন- জিওফ হাওয়ার্থ, ব্রুস এডগার, ল্যান্স কেয়ার্নস, জেফ ক্রো, মার্টিন ক্রো। ঐ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জয়ী হয়।

২। টনি ডোডেমাইড : অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার ১৯৮৮ সালের ২ জানুয়ারি ওয়াকা, পার্থ স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭.২ ওভারে ২১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন- অশঙ্কা গুরুসিনহা, অরবিন্দ ডি সিলভা, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, গাই ডি অলউইস, গ্রেইম লেব্রয়। ঐ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জয়ী হয়।

৩। অ্যালান ডোনাল্ড : সাউথ আফ্রিকার এই ক্রিকেটার ১৯৯১ সালের ১০ নভেম্বর কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ৮.৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন – রবি শাস্ত্রী, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, নবজ্যোৎ সিধু, শচীন টেন্ডুলকার, প্রবীণ অাম্রে। ঐ ম্যাচে সাউথ আফ্রিকা পরাজিত হয়।

৪। চরিত বুদ্ধিকা : শ্রীলঙ্কার এই ক্রিকেটার ২০০১ সালের ২৬ অক্টোবর শারজাহ স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৬৭ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন – ডগি ম্যারিলিয়ার, স্টুয়ার্ট কার্লাইল, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্যারি ব্রেন্ট, ট্রাভিস ফ্রেন্ড। ঐ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা পরাজিত হয়।

৫। অস্টিন কডরিংটন : কানাডার এই ক্রিকেটার ২০০৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ডারবানের কিংসমিড স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ ওভারে ২৭ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন – হান্নান সরকার, অলক কাপালী, তাপস বৈশ্য, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মদ রফিক। ঐ ম্যাচে কানাডা জয়ী হয়।

৬। ফিদলে অ্যাডওয়ার্ডস : ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ক্রিকেটার ২০০৩ সালের ২৯ নভেম্বর হারারে স্পোর্টস ক্লাব স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ ওভারে ২২ রান দিয়ে ছয় উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন – বার্নি রজার্স, ভুসি সিবান্দা, ক্রেগ উইশার্ট, মার্ক ভার্মুলেন, স্টুয়ার্ট ম্যাটসিকেনিয়েরি, তাতেন্দা তাইবু। ঐ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়ী হয়।

৭। ব্রায়ান ভিটোরি : জিম্বাবুয়ের এই ক্রিকেটার ২০১১ সালের ১২ আগস্ট হারারে স্পোর্টস ক্লাব স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন – তামিম ইকবাল, শাহরিয়ার নাফিস, মোহাম্মদ আশরাফুল, ইমরুল কায়েস, শফিউল ইসলাম। ঐ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে জয়ী হয়।

৮। তাসকিন আহমেদ : বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার ২০১৪ সালের ১৭ জুন মিরপুর শেরে ই বাংলা স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ৮ ওভারে ২৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন – রবিন উথাপ্পা, আম্বাতি রায়ডু, চেতশ্বর পুজারা, স্টুয়ার্ট বিনি, অমিত মিশ্র। ঐ ম্যাচে বাংলাদেশ পরাজিত হয়।

৯। ক্রেগ ইয়ং : আইরিশ এই ক্রিকেটার ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মালাহাইডের দ্য ভিলেজ স্টেডিয়ামে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন – ক্যালাম ম্যাকলিওড, হ্যামিশ গার্ডিনার, প্রিস্টন মমসেন, সাফিয়ান শরীফ, মাইকেল লিস্ক। ঐ ম্যাচে আয়ারল্যান্ড জয়ী হয়।

১০। মুস্তাফিজুর রহমান : বাংলাদেশের এই ক্রিকেটার ২০১৫ সালের ১৮ জুন শেরে ই বাংলা স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ৯.২ ওভারে ৫০ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন – রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়না, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আজিংকা রাহানে, রবিন্দ্র জাদেজা। ঐ ম্যাচে বাংলাদেশ জয়ী হয়।

১১। কাগিসো রাবাদা : আফ্রিকান এই ক্রিকেটার ২০১৫ সালের ১০ জুলাই শেরে ই বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ ওভারে ১৬ রান খরচ করে ছয় উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন – তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, মাশরাফি মর্তুজা। ঐ ম্যাচে আফ্রিকা জয়ী হয়।

১২। দাসুন শানাকা : লংকান এই ক্রিকেটার ২০১৬ সালের ১৬ জুন মালাহাইড ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ ওভারে ৪৬ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন – পল স্টার্লিং, এড জয়েস, জন অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট পয়েন্টার, ম্যাক্স সোরেনসেন। ঐ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা জয়ী হয়।

১৩। জ্যাক বল : ইংলিশ এই ক্রিকেটার ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর শেরে ই বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯.৫ ওভারে ৫১ রানে পাঁচ উইকেট শিকার করেন। সেদিন তার শিকারে পরিণত হন – তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, মুসাদ্দেক হোসেন, তাসকিন আহমেদ। ঐ ম্যাচে ইংল্যান্ড জয়ী হয়।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে