রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:১২:০৫

বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতানো নিয়ে মুখ খুললেন সেই মাশরাফি

বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতানো নিয়ে মুখ খুললেন সেই মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে এই আসর অনুষ্ঠিত হবে। ইদানীং মাশরাফি বিন মর্তুজার সঙ্গে তার তুলনা করা হচ্ছে। ক্রিকেটার হিসেবে নয়, অধিনায়ক হিসেব। মাশরাফি যেমন জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমের সবচেয়ে অনুকরণীয় চরিত্র। যুবদলের তেমন মেহেদি হাসান মিরাজ। জানুয়ারির শেষ দিকে ২০১৬ সালে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যুব বিশ্বকাপে তারই নেতৃত্ব দেয়ার কথা দলকে। মিরাজ অধিনায়ক হিসেবে যতটা ভূমিকা রাখেন, তেমনই ভূমিকা রাখেন পারফর্মার হিসেবেও। তার হাত ধরেই প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে ক্রিকেটাঙ্গন। নতুন মাশরাফি হিসাবে পরিচিতি পাওয়া মিরাজ বলেন, বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে আমাদের দুটি ম্যাচ আছে। এ কারণেই প্রস্তুতিটা দরকার ছিলো। সমুদ্রের খুব কাছের ভেন্যু হওয়ায় সেখানকার উইকেট এবং কন্ডিশন একটু ভিন্ন। মানিয়ে নেয়ার ব্যাপার ছিলো। সেটা ঠিকঠাক হয়েছে। মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, এই দলের সবাই একসঙ্গে অনেক দিন ধরে খেলছি। আমাদের পারস্পরিক বোঝাপোড়াটা বেশ ভালো। অধিনায়ক হিসেবে এই দল নিয়ে আমি খুশি এবং আশাবাদী। বিশ্বকাপে হয়তো এই স্কোয়াডটাই থাকবে। তার আগে আমাদের প্রস্তুতি খুব ভালোভাবে হচ্ছে। আমরা বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে আমরা এই প্রথম খেললাম। ওদের দল সম্পর্কে তাই আমাদের খুব ভালো ধারণা ছিলো না। উইকেটটাও ঠিক স্পোর্টিং মনে হয়নি। বেশির ভাগ ম্যাচই লো স্কোরিং হয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা ওই সিরিজের ভুল ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করেছি এবং তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছি। এ বছর জাতীয় লিগে জাতীয় লিগের বড় বড় তারকারা খেলেছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন মুশফিক ভাই, তামিম ভাই, সাকিব ভাইও। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের উপস্থিতির কারণে এবারের জাতীয় লিগ ভিন্ন রকম ছিলো। আমার বা আমার দলের খেলোয়াড়দের জন্য পারফর্ম করাটা তাই সহজ ছিলো না। জাতীয় দলের বোলারদের খেলে আমরা রান পেয়েছি। আবার তাদের বিপক্ষে বোলিং করেও সফল হয়েছি। এটা আমাদের জন্য বড় একটা অর্জন। বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করতে জাতীয় লিগ অনুপ্রেরণা দিবে। আসলে জাতীয় লিগে খেলার সময় বিশেষ কোনো লক্ষ্য ছিলো না। সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়া বা এই তালিকা এক বা দুইয়ে থাকা- এ রকম কিছু চিন্তা করিনি। দলের প্রয়োজন অনুযায়ী পারফর্ম করাটাই আমার কাছে বড়। পরিস্থিতি আনুযায়ী বোলিং করা এবং ধারাবাহিকভাবে রান করার লক্ষ্য ছিলো। বোলিংয়ে ৩০ উইকেট পেয়ে দুই নম্বর হয়েছি। ব্যাটিংয়ে হয়তো খুব বেশি রান করতে পারিনি, কিন্তু যতোটুকুই করেছি তা দলের কাজে লেগেছে। জাতীয় লিগে আমি শেষের দিকে ব্যাটিংয়ে নেমেছি। ফলে খুব বেশি কিছু করার সুযোগও ছিলো না। তারপরও আমি আমার ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্ট। আমাদের ব্যাটিং ও বোলিং বিভাগ একই রকম ভারসাম্যপূর্ণ। বোলারদের উপর হয়তো ভরসা বেশি থাকে। কিন্তু ব্যাটসম্যানরাও কোনো অংশে পিছিয়ে নয়। ফিল্ডিংয়েও আমরা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো করছি। সব মিলিয়ে আমাদের দলের প্রতিটি বিভাগের উপরই সমানভাবে বিশ্বাস রাখতে চাই। অনুর্ধ্ব-১৯ দলের এ সেনাপতি বলেন, দলের সবাই যখন পারফর্ম করে, দল যখন সাফল্য পায়; অধিনায়ক হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালো লাগে। আশা করি আমাদের দলে যারা আছে, তারাই বাংলাদেশের ভবিষ্যত তারকা। সবাই ভালো ক্রিকেট খেলছে। অধিনায়ক হিসেবে আমার সবচেয়ে আনন্দের জায়গা হলো, আমি কিছু বললে দলের সবাই তা মনোযোগ দিয়ে শোনে এবং মেনে চলে। অধিনায়কত্বটা তাই উপভোগ করি। ভবিষ্যতের প্রস্তুতিও নেয়া হয়ে যাচ্ছে। সামনে বড় আসর। দল সেখানে ভালো কিছু করলে অধিনায়ক হিসেবে এই দল নিয়ে গর্ব করতে পারবো।-মানব কন্ঠ ২০ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে