সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:৫৯:০৫

ক্যানসারের সামনে দাঁড়ানো ১৫ ক্রিকেটার

ক্যানসারের সামনে দাঁড়ানো ১৫ ক্রিকেটার

স্পোর্টস ডেস্ক: ক্রিকেটের মাঠ মাতানো এমন কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছেন যারা মরণব্যাধী ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়েছেন। ফিরেছেন নিজ নিজ কর্মস্থলে। এমন ১৫জন ক্রিকেটার হলেন- ১। রিচি বেনো: অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক এবং প্রবাদপ্রতীম ধারাভাষ্যকার রিচি বেনোর ত্বকের ক্যানসার ধরা পড়ে ২০১৪ সালে। মারা যান এ বছর। ২। মার্টিন ক্রো: ২০১২ সালে নিউ জিল্যান্ডের মার্টিন ক্রো ঘোষণা করেন, তাঁর লিম্ফোমা রয়েছে। মাঝে দু’বছর সুস্থ থাকলেও, ফের রোগ মাথাচাড়া দিয়েছে। ৩। জন এমবুরি: ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের এই প্রাক্তন স্পিনারের অস্ত্রোপচার হয়। কপালের টিউমার সম্পর্কে জানিয়েছেন, রোদ থেকেই ক্যানসার। ৪। গ্রেম পোলক। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার এই প্রাক্তন ব্যাটসম্যানের ক্যানসার ধরা পড়ে। সুস্থ হয়েছেন, কিন্তু চিকিৎসার খরচ মেটাতে সর্বস্বান্ত। ৫। ক্লাইভ রাইস। গোড়ায় ক্লাইভ রাইসের পায়ে একটি মাংসপিণ্ড ধরা পড়ে। ২০১৩ সালে অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ হলেও, মারা যান এ বছরই। ৬। হানিফ মহম্মদ: প্রথম ‘লিটল মাস্টার’-এর লিভারে ক্যানসার ধরা পড়ে ২০১৩ সালে। লন্ডনে অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ হয়েছেন। ৭। রবিন জ্যাকম্যান: ২০১২ সালে ভোকাল কর্ডের কাছে ক্যানসার ধরা পড়ে। অস্ত্রোপচার এবং রেডিয়েশনের পরে আপাতত সুস্থ। ৮। যুবরাজ সিংহ: ২০১১ বিশ্বকাপের সময়েই ক্যানসার বাসা বেঁধেছিল, কেউ টের পাননি। ২০১২ সালে ধরা পড়ে। আমেরিকায় চিকিৎসার পরে সুস্থ হন। ফের ভারতীয় দলের সদস্য। ৯। মাইকেল ক্লার্ক: ২০০৬ সালে মুখে দু’টি দাগ দেখা গিয়েছিল। খুবই ছোট মাপের ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসার পরে সুস্থ হন। তবে তার পর থেকে হ্যাট পরে মাঠে নামেন। ১০। ম্যাথিউ ওয়েড: পেশাদার ক্রিকেটার হওয়ার আগেই ক্যানসার ধরা পড়েছিল অণ্ডকোষে। চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেন। ১১। জিওফ্রে বয়কট: ২০০৩ সালে গলায় ক্যানসার ধরে পড়েছিল। একবছরে ৩৫টি রেডিওথেরাপি সয়ে ফের কমেন্ট্রি বক্সে বয়কট। ১২। জন এডরিক: ২০০০ সালে লিউকোমিয়া ধরা পড়েছিল। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, আয়ু আর সাত বছর। ১২ বছর পরে এডরিক জানান, তিনি সুস্থ। ১৩। ডেভ কালাহান: দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অভিষেকের আগেই অণ্ডকোষে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিৎসার পরে অভিষেক হয় জাতীয় দলে। ১৪। জয়প্রকাশ যাদব: অনেকটা কালাহানের মতোই ইতিহাস। ২১ বছর বয়সেই পেটে টিউমার ধরা পড়ে। সুস্থ হয়ে ভারতীয় দলের জার্সিও গায়ে চড়িয়েছেন। ১৫। সাইমন ও’ডোনেল: ১৯৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বিশ্বকাপ জেতার পরে ধরা পড়েছিল লিম্ফোমা। চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়ে এক বছরের মধ্যেই কামব্যাক করেন। ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪ডটকম/জুবায়ের রাসেল

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে