ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড
স্পোর্টস ডেস্ক: রোমাঞ্চকর এক চতুর্থ দিনের প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু সেই রোমাঞ্চের মঞ্চটা পুরোপুরি দখল করে নিল নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। নির্দিষ্ট করে বলছে কেন উইলিয়ামসন। তাঁর অনবদ্য এক সেঞ্চুরিতেই যে হ্যামিল্টন টেস্ট ৫ উইকেটে জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়টাও সম্পন্ন করল ম্যাককালাম-বাহিনী।
টেস্টটা জেতার সম্ভাবনা ছিল শ্রীলঙ্কারও। বিশেষ করে প্রথম তিন তিনে যেভাবে বোলাররা দাপট দেখিয়েছেন, তাতে কিউইদের শেষ ৫ উইকেট ফেলে দেওয়া খুবই সম্ভব ছিল লঙ্কানদের। বিশেষ করে দুষ্মন্তা চামিরা যে ফর্মে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্ভাবনার ধারেকাছেও যেতে পারেনি তারা। চামিরা-লাকমাল-হেরাথদের অকার্যকর বানিয়ে উইলিয়ামসন দারুণভাবেই বের করে নিয়েছেন ম্যাচটা।
হ্যামিল্টন নিউজিল্যান্ডের জন্য মোটেও ‘পয়া’ ভেন্যু নয়। হ্যামিল্টনের এই সেডন পার্কেই সর্বশেষ ৬ টেস্টের ৪ টিতেই হারতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের সর্বশেষ হারও এই সেডন পার্কেই। কিন্তু সেই সেডন পার্কেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতে এক অনন্য রেকর্ডের অধিকারী দলটি। ঘরের মাঠে টানা ১৩টি টেস্টেই যে জয় পায়ে এসে লুটিয়ে পড়েছে কিউদের। ব্রেন্ডন ম্যাককালামও নিজেকে একজন সফল অধিনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছেন। তাঁর নেতৃত্বে হ্যামিল্টনের টেস্ট নিয়ে ১১টি টেস্ট জিতল নিউজিল্যান্ড, যা নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টেস্ট জয়ের সমান (জিওফ হাওয়ার্থ নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা টেস্ট অধিনায়ক)। ২৮টি টেস্ট জিতে নিউজিল্যান্ডের সেরা অধিনায়ক স্টিভেন ফ্লেমিংই।
কেন উইলিয়ামসন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানদের কোনো সুযোগই দেননি। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৭ রান, হাতে ছিল ৫ উইকেট। উইলিয়ামসন অপরাজিত ছিলেন ৭৮ রানে। বিজে ওয়াটলিং ছিলেন নতুন ব্যাটসম্যান। কিন্তু আজ সকালে চতুর্থ দিনের খেলা স্থায়ী হল মাত্র ১২ ওভার।
৭২ বল স্থায়ী সেশনে উইলিয়ামসনই খেললেন ৪৪টি বল। আগের দিনের ৭৮ রানের সঙ্গে যোগ করলেন আরও ৩০ রান। বিজে ওয়াটলিং ৩৬ বল খেলে অপরাজিত রইলেন ১৩ রান করে। সূত্র: প্রথম আলো
২১ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর