সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৩:৪৮:০৩

ভূমিকম্পের ভয় নিয়ে খেলেছে ফুটবল-কন্যারা

ভূমিকম্পের ভয় নিয়ে খেলেছে ফুটবল-কন্যারা

স্পোর্টস ডেস্ক: মতিঝিলের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে তখনো ঢোকেনি মেয়েরা। তাদের অপেক্ষায় ভবনে জনা কয়েক গণমাধ্যমকর্মী ও বাফুফের মহিলা উইংয়ের কর্মকর্তারা। দূর থেকেই ভেসে আসছিল মেয়েদের উল্লাস, চিৎকার। এই উল্লাস নেপাল জয়ের। এই উল্লাস হিমালয় জয়ের। কাল রাতে সানজিদা, কৃষ্ণা, মার্জিয়ারা যখন বিমানবন্দর থেকে বাসে করে ভবনে ঢুকল, চোখ ঘুমে ঢুলু ঢুলু। দেখে মনে হচ্ছিল রাজ্যের ক্লান্তি ভর করেছে তাদের ওপর। সেটাই স্বাভাবিক, এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ প্রতিযোগিতার ফাইনাল হয়েছে সকালে। ম্যাচ খেলার ক্লান্তির সঙ্গে যোগ হয়েছিল আনন্দ-উল্লাসের ধকলও। একই দিনে কাঠমান্ডু থেকে ঢাকার বিমানযাত্রাও তো কম ক্লান্তির ছিল না। তবু মুখে হাসি যেন ধরে না ফুটবল-কন্যাদের। এই হাসি গৌরবের, এই হাসি দেশকে বড় এক সাফল্য উপহার দেওয়ার। তবে এমন গৌরবগাথা সৃষ্টির ম্যাচটিই যে মেয়েরা ভূমিকম্পের আতঙ্ক নিয়ে খেলেছে, সেই খবর কে রাখে? ফাইনালের গোলদাতা কলসিন্দুরের মেয়ে মার্জিয়ার মুখ থেকেই জানা গেল ঘটনাটা, ‘আগের বার নেপালের ভূমিকম্পে প্রচণ্ড ভয় পেয়েছিলাম। এবারও বিমানে ওঠার সময় একই আতঙ্ক পেয়ে বসেছিল সবাইকে। মনে হচ্ছিল আবার যদি ভূমিকম্প হয়! নেপালে গিয়ে শুনি সেদিনই নাকি হালকা ভূমিকম্প হয়েছে। এটা শুনে আরও ভয় পেয়ে যাই।’ ভূমিকম্পের সেই আতঙ্ক কাটাতে অবশ্য কাজ করতে হয়েছে কোচ গোলাম রব্বানীকে (ছোটন)। মেয়েদের বলেছিলেন, ‘তোমরা খেলতে এসেছ। খেলাটা উপভোগ করো।’ কোচের পাশাপাশি আয়োজকেরাও নাকি যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিলেন। মানসিকভাবে আশ্বস্ত করেছিলেন বারবার। শেষ পর্যন্ত ভয়কে জয় করেই খেলতে নামে মেয়েরা। সানজিদার কথায় ভূমিকম্পের ভয়ের চেয়েও জয়ের প্রতিজ্ঞাটাই যে সময় কাজ করেছে সবচেয়ে বেশি, ‘আমরা যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম সেটা সফল করেই ফিরেছি। ভূমিকম্প নিয়ে আর ভাবিনি। বাংলাদেশের জন্য কিছু একটা করব, এই প্রতিজ্ঞা ছিল মনের মধ্যে।’ ভয়কে জয় করে শিরোপা জিতেই দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের ১৪ বছর বয়সী জাতীয় দল। তবে বিশ্রামের সুযোগ নেই। আজ থেকেই আবার শুরু হচ্ছে নতুন ব্যস্ততা। আগামী ৬-১৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলং ও গোয়াহাটিতে হবে এসএ গেমস। এখন সবার নজর ওই প্রতিযোগিতায়। অধিনায়ক কৃষ্ণা রানি সরকারের চোখ এখন দক্ষিণ এশীয় গেমসে, ‘আমরা ভুটানকে ১৬ গোল দিয়েছি। তাতেই মনে হয়েছে গোল কম হয়েছে। ইরানকে হারিয়েছি। এই অভিজ্ঞতা এসএ গেমসে কাজে লাগবে। সিনিয়র আপুদের সঙ্গে আমাদের মাঠের বোঝাপড়া অনেক ভালো। আশা করি এসএ গেমস থেকেও সোনার পদক নিয়ে আসতে পারব।’ সূত্র : প্রথম আলো ২১ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে