মেসিকে থুতু, মেজাজ হারিয়ে মেসির ধাক্কাধাক্কি
স্পোর্টস ডেস্ক : দেশকে কোপা আমেরিকা বা বিশ্বকাপের ফাইনালে তুললেও লিও মেসির ওপর তার স্বদেশীয়রা এখনও কতটা ক্ষিপ্র তার প্রমাণ পাওয়া গেল সোমবার জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে। দেশে ফেরার বিমান ধরার সময় মেসির দিকে থুতু ছেঁটালেন তারই দেশের ক্লাব রিভার প্লেটের সমর্থকেরা।
শুধু তাই নয়, আর্জেন্টিনার তারকাকে লক্ষ্য করে উড়ে আসতে থাকে একের পর এক গালিগালাজ, কটুবাক্য। প্রথমে চুপ থাকলেও পরে মেজাজ হারান মেসি। পালটা সমর্থকদের দিকে তিনিও তেড়ে যান। ধাক্কাধাক্কি হয়। অবশেষে মেসিকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন তারই দেশের সতীর্থ জেভিয়ার মাসচেরানো। গোটা ব্যাপারটায় হস্তক্ষেপ করেন তিনি। পরের লুইস সুয়ারেজ এবং কোচ লুইস এনরিকে এসে মেসিকে শান্ত করেন। কিন্তু পুরোপুরি শান্ত হননি মেসি। এক জায়গায় বসে তাকে ফুঁসতে দেখা যায়।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার দেশের সমর্থকদের হাতে বেইজ্জত হয়েছেন মেসি। দেশকে এত কিছু দেওয়ার পরেও দেশের এক শ্রেণীর সমর্থক মেসির দায়িত্ব এবং কর্তব্যবোধ নিয়ে সন্দিহান। তারই ফলস্বরূপ সোমবার আক্রমণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় অবশ্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন রিভার ক্লাব সভাপতি লুসিয়ানো ডি’ওনোফ্রিও। জানিয়েছেন, ‘কোনও কোনও সমর্থক নির্বোধ থাকেই। তবে মেসির প্রতি আমাদের রাগ নেই। ও ভদ্রলোক।’
রোববার খেলার পর অবশ্য মেসি ছিলেন ফুরফুরে। ক্লাবের হয়ে ৩টি ক্লাব বিশ্বকাপেই গোল হয়ে তার। সেই প্রসঙ্গ তুলতেই তিনি বলেন, ‘শুধু ওই একটি কারণের জন্য নয়, আমি খুশি সব কিছুর জন্যই। বার্সিলোনার মতো বড় মাপের ক্লাবের হয়ে ইতিহাস গড়ার জন্য তো অবশ্যই খুশি। আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, বার্সালোনাই বিতর্কহীনভাবে বিশ্বের সেরা ক্লাব। গ্রেট ক্লাব।’
ফাইনালে খেলতে নেমে কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে মেসি বলেন, ‘আমিই কোচকে বলেছিলাম, খেলব। কোচ খেলিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধে খুব অল্প সময়ের জন্য মনে হচ্ছিল, পা যেন চলছে না। এর বেশি আর কিছু নয়। ঠিকঠাক তো খেলেই গেলাম। ব্যথা না থাকাটা আমাকে স্বস্তি দিয়েছে।’ তিনি আশাপ্রকাশ করেন, ‘সামনের বছরগুলোতেও বার্সিলোনা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে পারবে। আরও অনেক ট্রফি জিতবে।’
২২ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস