স্পোর্টস ডেস্ক : ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভারত, বিশ্ব–ক্রিকেট। বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর প্রতি শোকবার্তা উপচে পড়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রণব মুখার্জীসহ দেশ-বিদেশের ররি মহল থেকে এসেছে শোকর্বাতা।
রাষট্রপতি মো. আবদুল হামিদ : “বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে জগমোহন ডালমিয়ার সহযোগিতা ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছিল।” ডালমিয়ার আত্মার শান্তিকামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান আবদুল হামিদ।
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা : “ডালমিয়া ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষী। তার মৃত্যুতে বিশ্ব ক্রিকেটের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল।” শেখ হাসিনা ক্রিকেটকে জনপ্রিয় করে তুলতে ডালমিয়ার অবদান স্মরণ করে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে।
ভারতের রাষট্রপতি প্রণব মুখার্জি: জগমোহন ডালমিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি: শ্রী জগমোহন ডালমিয়ার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।
সুনীল গাভাস্কার: সাত ও আটের দশকের ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের পুনর্মিলনের জন্য আমি এখন ডেট্রয়েটে। আজ রাতে অনুষ্ঠান। আমরা দু’মিনিট নীরবতা পালন করব জগমোহন ডালমিয়ার জন্য। অজিত (ওয়াদেকার), ফারুখ (ইঞ্জিনিয়ার), চন্দ্র (চন্দ্রশেখর), দিলীপ (বেঙ্গসরকার), কারসন (ঘাউড়ি), যজুবেন্দ্র, চেতন চৌহান এখানে আমার সঙ্গে রয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একজন বিরাট ব্যক্তিত্ব প্রয়াত হলেন।
জগমোহন ডালমিয়া এমন একজন প্রশাসক, যার কাছে ক্রিকেটটা অন্য সব কিছুর ঊর্ধ্বে ছিল। বি সি সি আই এবং আই সি সি আজ যে আর্থিক শক্তিতে ভরপুর, সেটা ওর নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছিল। উনি এবং আই এস বিন্দ্রা প্রথম বুঝেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের কী ক্ষমতা। ক্রিকেটের উন্নতিতে বৈদ্যুতিন মাধ্যম কী ভূমিকা নিতে পারে, সেটাও ওরাই প্রথম বুঝেছিলেন। ডালমিয়ার নেতৃত্বেই আই সি সি–র কোষাগার কয়েক হাজার ডলার থেকে আজ কোটি ডলারে ফুলেফেঁপে উঠেছে। সেই টাকা অবশিষ্ট ক্রিকেট–বিশ্বের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। ওর প্রশাসনিক দক্ষতাতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, বিশেষ করে ভারতীয় ক্রিকেটে বেশ কিছু জটিল সমস্যার সহজে সমাধান হয়েছিল। ওর অমায়িক হাসিটা মিস করব।
শচীন টেন্ডুলকার: জগমোহন ডালমিয়ার বন্ধু এবং পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। জুন মাসে ওনার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তখন বুঝতে পারিনি সেটাই শেষ দেখা হবে। ওনার অনুপ্রেরণা এবং সমর্থন সারা জীবন মনে রাখব। ক্রিকেটের জন্য সারা জীবন কাজ করেছেন। দক্ষ প্রশাসক ছিলেন। ইডেনে আমার বিদায়ী টেস্ট ম্যাচ যেভাবে স্মরণীয় করে রেখেছিলেন, তা আমার মন ছঁুেয় গিয়েছিল। আর আই পি জগমোহন ডালমিয়া।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি: ডালমিয়ার মৃত্যু খুবই দুঃখের। অত্যন্ত দক্ষ ক্রীড়া প্রশাসক ছিলেন। বাংলাকে অসম্ভব ভালবাসতেন।
গোপাল বসু: খুব খারাপ লাগছে। বেশি দেখা হত না। দেখা হলে সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হত। ওর মৃত্যুতে বিরাট শূন্যতা তৈরি হল। সি এ বি–তে শুনেছি এখন দুটো ভাগ। ডালমিয়া নিজের ক্ষমতায় সেই দ্বন্দ্ব দমিয়ে রেখেছিলেন। এখন সেটা প্রকাশ্যে আসবে কিনা, সময়ই বলবে। তার প্রশাসনে ক্রিকেট জনপ্রিয় হয়েছে, প্রসারিত হয়েছে। বাণিজ্যিকীকরণের চূড়ায় পৌঁছেছে। ভারতে বিশ্বকাপের আয়োজন তার সময়েই।
বিষেণ সিং বেদি: একজন দক্ষ প্রশাসক এবং বিসিসিআইয়ের সেরা সভাপতি। আর আই পি জগ্গুদা।
অনিল কুম্বলে: ডালমিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে আমি মর্মাহত। খেলোয়াড়দের কাছের মানুষ ছিলেন। ক্রিকেটের পক্ষে বিরাট ক্ষতি। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
ভি ভি এস লক্ষ্মণ: ভারতীয় ক্রিকেটে ডালমিয়াজির অবদান অবিস্মরণীয়। একজন বিচক্ষণ প্রশাসক ছিলেন ডালমিয়াজি। তার মৃত্যু ভারতীয় ক্রিকেটে অপূরণীয় ক্ষতি।
সঞ্জয় মঞ্জরেকার: জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যুর খবরে ভীষণ দুঃখ পেলাম। আর আই পি জগ্গুদা।
হরভজন সিং: ডালমিয়া স্যরের প্রয়াণের খবরে ভীষণ ভীষণ দুঃখ পেলাম। বি সি সি আই এবং ক্রিকেটারদের পক্ষে বিরাট ক্ষতি। আপনাকে স্যালুট স্যর।
রোহিত শর্মা:আর আই পি ডালমিয়া স্যর। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
সুরেশ রায়না: ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে বিরাট ক্ষতি। মিঃ ডালমিয়া সবসময় সঠিক পথ দেখাতেন। ভাল থাকুন স্যর।
শেখর ধাওয়ান: ডালমিয়ার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। ডালমিয়াসাবের অবদান ভারতীয় ক্রিকেট এবং বি সি সি আই সারা জীবন মনে রাখবে।
আর পি সিং: ডালমিয়ার মৃত্যুর খবরে ভীষণই দুঃখিত। তঁার দূরদর্শিতার জন্যই ভারতীয় ক্রিকেট এতদূর এগিয়েছে।
প্রজ্ঞান ওঝা: ডালমিয়াজির আত্মার শান্তি কামনা করি। ওনার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
লক্ষ্মীরতন শুক্লা: খবরটা শুনে খুবই খারাপ লাগছে। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি। ভারত এবং বাংলার ক্রিকেটে ওঁর যা অবদান, তা ভোলার নয়। যেখানেই থাকুন ভাল থাকুন।
সৌরাশিস লাহিড়ী: বলার মতো কোনও ভাষা খঁুজে পািচ্ছ না। যেদিন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি, সেদিন থেকে ওনাকে দেখে আসছি। যত দিন গেছে, ডালমিয়াজির সঙ্গে পরিচিতি বেড়েছে। ডালমিয়ার চলে যাওয়া ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে অপূরণীয় ক্ষতি।
অশোক দিন্দা: ডালমিয়া স্যরের প্রয়াণে আমি গভীর শোকাহত। বাংলা এবং ভারতীয় ক্রিকেটের পক্ষে বিরাট ক্ষতি।
সোমনাথ চ্যাটার্জি: ডালমিয়ার মৃত্যুর খবর আমার কাছে বজ্রাঘাতের মতো। আমার খুব কাছের একজন মানুষকে হারালাম। ওর মতো মানুষ খুব কম দেখেছি। যে কাজটাই করতেন মন দিয়ে করতেন। বহুদিন আমাকে সি এ বি–তে আসার জন্য আমন্ত্রণ করেছিলেন। ওঁর পরিবারের প্রত্যেককে সমবেদনা জানাই।
অনুরাগ ঠাকুর: ভারতীয় ক্রিকেটের ফাদার ফিগার হলেন ডালমিয়া। ভারতীয় ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরেছিলেন উনি। অত্যন্ত দক্ষ ক্রীড়া প্রশাসক ছিলেন। ভারতের ক্রিকেটকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। আগামী প্রজন্ম ওর অবদান মনে রাখবে। একটা যুগ শেষ হল। আর আই পি ডালমিয়াজি।
রাজীব শুক্লা: আই সি সি বা বি সি সি আই যেখানেই থাকুন, ওঁর ভাবনাচিন্তাই ছিল অন্যরকম। কোনও সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাবেননি। ডালমিয়ার চিন্তাধারাই ছিল আধুনিক। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম পথপ্রদর্শক। বিসিসিআই–তে থাকাকালীন এমন সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা আজও ভোলার নয়। ভারতীয় ক্রিকেটে এক বিরাট শূন্যস্থান তৈরি হল।
কীর্তি আজাদ: সারা জীবনে যা করেছেন খেলার জন্য। ডালমিয়াজির কাজটা পুরোটাই ছিল আলাদা সিস্টেমে। ডালমিয়াজি এমন একজন যার হাত ধরে ভারতীয় ক্রিকেটে টাকার প্রবেশ ঘটেছে। কিন্তু এখন যেরকম হচ্ছে, সেরকমভােব কোনও দিন টাকার অপব্যবহার করেননি। ক্রিকেটারদের জন্য ট্যালেন্ট রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট স্কিম টিআ ডি এস) ছাড়াও বোর্ডে থাকাকালীন উনি পেনশন যোজনা চালু করেন। আমার স্ত্রী–কেও প্রভূত সাহায্য করেন। ক্রিকেটের পক্ষে খুব দুঃখের দিন আজ।
উৎপল গাঙ্গুলি: সাধারণত এরকম মুহূর্তে কিছু বলার থাকে না। িব সি সি আই–তে ডালমিয়ার যা অবদান তা বলে শেষ করা যাবে না। আমার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক ছিল। ডালমিয়ার আধুনিক চিন্তাধারা সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি