বুধবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৯:২৩:১৮

'ভেতরে-ভেতরে ঠিকই সক্রিয় ছিলেন টেন্ডুলকার'

 'ভেতরে-ভেতরে ঠিকই সক্রিয় ছিলেন টেন্ডুলকার'

স্পোর্টস ডেস্ক: রাজ্যসভায় শচীন টেন্ডুলকার। ফাইল ছবি২৩৫ দিনের মধ্যে মাত্র ১৩ দিন উপস্থিত! রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার পর থেকে অধিবেশনগুলোয় শচীন টেন্ডুলকারের উপস্থিতি নিয়ে উঠেছিল নানা প্রশ্ন। সমালোচকেরা হয়তো ভুলে গেছেন, মানুষটি টেন্ডুলকার। মাঠের মতোই মাঠের বাইরেও তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি। হতে পারে মাত্র ১৩ দিনের উপস্থিতি। কিন্তু নিজের কাজে শতভাগ সচেষ্ট ভারতীয় কিংবদন্তি। এ কারণেই ভারতের ‘ইকোনমিক টাইমস’ বলছে, ‘অনুপস্থিত সাংসদের দারুণ স্কোরকার্ড’! হবে না? ২২ গজে যাঁর লক্ষ্যই ছিল বড় স্কোরের, এ ক্ষেত্রে কেন ‘পিছিয়ে’ থাকবেন? ভারতের মেম্বারস অব পার্লামেন্ট অব লোকাল এরিয়া ডেভেলপমেন্ট স্কিমের (এমপিএলএডিএস) তহবিল ব্যবহারে নিজের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিই তুলে ধরেছেন টেন্ডুলকার। ইকোনমিক টাইমসের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, তহবিলের প্রায় ৯৮ শতাংশ যথাযথভাবে ব্যয় করেছেন টেন্ডুলকার। এ অর্থ তিনি বরাদ্দ দিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর, তামিলনাড়ুর বন্যা দুর্গতদের জন্য। কিছু অর্থ ব্যয় করেছেন উত্তরাখণ্ডের চামোলি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় ও সেতু পুনর্নির্মাণে। তা-ই নয়, এমপিএলএডিএস তহবিল থেকে তামিল নাড়ুতে ত্রাণ বিতরণে ৫০ লাখ রুপি বরাদ্দ দিতে গত ১৪ ডিসেম্বর জুনিয়র পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রী ভিকে সিংকে লিখেছেন টেন্ডুলকার। এখানেই সীমাবদ্ধ নয় ভারত কিংবদন্তির সমাজকর্ম। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী মনোনীত ‘স্বচ্ছ ভারত’-এর দূত টেন্ডুলকারের প্রত্যক্ষ সমর্থন রয়েছে নানা জনহিতকর কাজ যেমন—মুম্বাইয়ের গুরগাঁওয়ে শৌচাগার নির্মাণ, মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্কুল নির্মাণে। খেলার বাইরেও নানা বিষয়ে টেন্ডুলকার নিয়মিত চিঠি লেখেন মন্ত্রীদের উদ্দেশে। গত জানুয়ারিতে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে লিখলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচিতে যেন অন্তত একটি খেলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১২ সালের জুনে ভারতের উচ্চকক্ষের সদস্য হওয়ার পর গত তিন বছরে রাজ্যসভায় কোনো বিষয় নিয়েই কথা বলেননি টেন্ডুলকার। গত ৪ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রাজ্যসভায় মুম্বাই নগরের গণপরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলেন। এবার শীতকালীন অধিবেশনে তিনি প্রশ্ন করেছেন সাতটি। এত দিন চুপ থাকলে কী হবে, ভেতরে-ভেতরে ঠিকই ছিলেন সক্রিয়। টেন্ডুলকার বোঝালেন, ‘কথা কম কাজ বেশি’ নীতিতেই বিশ্বাসী!-প্রথম আলো ২৩ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে