রবিবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১২:০৩:৪৫

এক মহিলার ‘সুমো কুস্তগীর’ হয়ে ওঠার গল্প

এক মহিলার ‘সুমো কুস্তগীর’ হয়ে ওঠার গল্প

স্পোর্টস ডেস্ক: মনের জোর আর পারিবারিক সাহায্যে তিনি এখন দেশের একমাত্র মহিলা সুমো কুস্তগীর। বাইশ বছর বয়সে একা রাস্তায় দাম্ভিকতার সাথে হেঁটে বেড়ান। না আছে সরকারি কোন সাহায্য, না আছে স্পন্সর। মনের জোরেই তার এত দূর আসা। বলছি ভারতের হেতালের কথা। ছোট বেলা থেকেই পুতুল খেলা তার বড়ই অপছন্দের। বরং মারপিটের সিনেমাই তাকে বড্ড বেশি মজা দিত। বিশেষ করে জ্যাকি চ্যান, ব্রুস লি-র ছবি দেখে শাখা প্যাঁচ-পয়জার সব পরখ করে মারামারি শুরু করতো ভাইয়ের সাথে। বাবা এমন দৃশ্য দেখে ভর্তি করিয়ে দেন জুডোতে। এ পর্যন্ত হেতাল ভারতের হয়ে এশিয়ার চ্যাম্পিয়নশিপে লড়েছে ২ বার। এমনকি ২০১০-এ আমি বিশ্রে পাঁচ নম্বর খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। তাই প্রশ্ন আসতে পারে জুড়ো ছেড়ে হঠাৎ কুস্তোগীর হওয়ার শখ জাগলো কেন? শুনুন এবার সে কাহিনী। সাধারণ পাঁচটা মেয়ের তুলনায় তাঁর শারীরিক এবং মানসিক শক্তি একটু বেশিই ছিল হেতালের। ভারতে এ খেলা একমাত্র পুরুষরাই খেলেন। হেতালও তাঁদের সঙ্গেই প্র্যাক্টিস করেই কুস্তিগীর হয়েছেন। দেশে এ খেলার কোনও স্বীকৃতি নেই ঠিকই, কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই এ নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। সেই সব প্রতিযোগিতায় দেশের হয়ে নামেন হেতাল। মূলত বিদেশে খেলার সময় দর্শকরা 'ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া' বলে যে ভাবে হেতালকে সাহস জোগায়, সেটাই তাকে আরো বেশি শক্তি দেয়।' মেয়ে হয়ে ছেলেদের খেলা খেলে। ওকে কি কেউ বিয়ে করবে? সেটিও জানা যায় হেতালের কন্ঠে, 'এ সব এখন গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। আমার এখন একটাই লক্ষ্য, কোনও ভাবে পরিবারকে সাহায্য করা। আমার বাবা আমার জন্য অনেক কিছু করেছেন। সাধ্যের বাইরে গিয়েও। তাঁর পাশে দাঁড়াতে চাই। একটা স্পনসর পেলে কাজটা আরও সহজ হত।' ২৭ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে