২০১৫ সালে কতটা সাফল্য কোহলির
স্পোর্টস ডেস্ক:চলতি বছরের শুরুর দিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছ থেকে বিরাট কোহলির কাছে অধিনায়কত্ব যাওয়ার পরই তার প্রভাবে বছরটি টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে। ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের জন্য ২০১৫ সালটা স্বরণীয় হয়ে থাকবে। আইসিসির টেস্ট র্যাংকিংয়ে সপ্তম স্থানে থাকা ভারতীয় দলটাকে এক বছর এনে দিয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। অনেকেই এ উন্নতির জন্য কোহলির নেতৃত্ব গুনকেই বাহবা দিচ্ছেন। তার অধীনে আক্রমণাত্মক ভারতীয় দলটি সঠিক পথেই এগুচ্ছে।
২০১৫ সালের শুরুতে ভারতীয় দলের টেস্ট ভাগ্য ছিল একদম তলানীতে। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে বিদেশের মাটিতে ১৩ টেস্টের মধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে ভারত। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টের পর নিজের অবসরের ঘোষণা দেয়ার বোমা ফাটান ধোনি। তার পর থেকেই স্বপ্নের মত দলকে নেতৃত্ব দেন কোহলি। এমনকি মাত্র কয়েকটি টেস্টে হার মানতে হয়েছে ভারতকে। তবে নব রুপের ভারতীয় দল ‘আগাসী ক্রিকেট’ খেলতে চায়-প্রমান করেছেন কোহলি।
২০১৫ সালের টেস্টের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে দেখা যায়। অধিনায়ক ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির অর্জনটা মন্দ নয়। চলমান অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ বক্সিং ডে’র আগ পর্যন্ত টেস্টের হিসেব-নিকেশের দিকে তাকান। ২০১৫-এ জয়ের হারে সবচেয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া, ১৩ টেস্টে তারা জিতেছে সাত টিতে। বাংলাদেশ অবশ্য সেখানে অনেক পিছিয়ে, পাঁচ টেস্টে জয় নেই একটিতেও। তবে একটি জায়গায় এগিয়ে বাংলাদেশই। এ বছর সবচেয়ে বেশি ‘ড্র’ করেছে মুশফিকুর রহিমের দল। পাঁচ টেস্টের চারটিতেই ড্র। বাংলাদেশের পর সবচেয়ে বেশি ড্র দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতের। দুই দলের ড্র তিনটি করে। বাংলাদেশ হেরেছে মাত্র একটি টেস্টে। ভারত-পাকিস্তানও হেরেছে একটি করে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা হেরেছে তিনটি। ইংল্যান্ড হেরেছে ছয়টি আর শ্রীলঙ্কা-ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয় সাত টেস্টে।
২৭ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস