মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০৮:২৭:৩৬

আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, আমরা সেটি ভালোভাবে করতে পেরেছি : মমিনুল হক

আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, আমরা সেটি ভালোভাবে করতে পেরেছি : মমিনুল হক

স্পোর্টস ডেস্ক : জিম্বাবুয়েকে হারানো এখন আর সে অর্থে কৃতিত্ব নয়। এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে ঘরের মাঠে এমন দুর্বল প্রতিপক্ষকে হারানো আসলেই সাফল্য হিসেবে সেভাবে বিবেচিত হবে না। এটাই স্বাভাবিক। ১৪ মাস আগে এই জিম্বাবুয়ের সাথে শেরে বাংলায় শেষ টেস্টেও টাইগাররাই জিতেছিল এবং সেটাও ছোট খাট ব্যবধানে নয়, ২১৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।

এবার যেমন সাকিব আল হাসান নেই। ঐ ম্যাচে সাকিব একা নন, তামিম ইকবালও ছিলেন না। কাজেই পরপর দুই ম্যাচের দুটিতে বড় জয় বলে দিচ্ছে, দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাতে এখন আর সাকিব-তামিমের দরকার পড়ে না। ভাঙাচোরা দল নিয়েও জিম্বাবুয়ে বধ সম্ভব। কাজেই আজ যে ইনিংস ও ১০৬ রানের জয় ধ'রা দিল, সেটা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। 

তাই ভক্ত, সমর্থকদের মাঝে এ জয় নিয়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়াও নেই। হৈ চৈ সাড়া শব্দ খুব কম। কোনোরকম উচ্ছ্বাস-উল্লাসও নেই। তারপরও জয় জয়ই। সেটা আবার টেস্ট জয়। তাও টানা হারের বৃত্তে আ'টকে থাকার পর। পরিসংখ্যান জানিয়ে দিচ্ছে, এ ম্যাচের আগে টাইগাররা ছিল হারের বৃত্তে আটকা। শুধু হার নয়, ইনিংস হার। 

দলের ওপর চাপ ছিল একরকম, আর অধিনায়ক মুমিনুল হকের ওপরও একটা অন্যরকম চাপ ছিল। অবশেষে সেই চাপ কাটিয়ে তার ব্যাটে রান। রানখ'রা কাটিয়ে ১৩২ রানের দারুণ এক ইনিংস উপহার, যেন দায়মুক্ত হওয়া। সেইসঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে দুর্দান্ত ও প্রথম জয়। এমন সাফল্যের পর অধিনায়ক মুমিনুলের ভেতরে একটা অন্যরকম স্বস্তি আসা স্বাভাবিক। কিন্তু টিম বাংলাদেশ অধিনায়ক স্বস্তিতে নেই। জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রশ্ন শুনলেন-আপনি কি স্বস্তিতে?

মুমিনুলের জবাব, 'এটা আসলে স্বস্তি নয়। তবে হ্যাঁ, একটু তো অবদান রাখতে পারলে ভালোই লাগে। আমার কাছে মনে হয় অধিনায়ক হিসেবে এবং দলের একজন সদস্য হিসেবে সবসময় সবার কাছে এটা কাম্য, যদি আপনি কিছু করতে পারেন। আমার মনে হয় আমি দলের জন্য কিছু অবদান রাখতে পেরেছি এবং সেটা করতে পারলে অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে মনে হয় ছোট ছোট অবদান রাখাটাও অনেক বেশি কিছু।’

দেশের মাটির বাইরেও বিদেশের মাটিতে ভালো করার স্বপ্ন নিয়ে মুমিনুল বলেন, ''আমি স্বপ্ন দেখি বিদেশেও ভালো ক্রিকেট খেলবো। সেই হিসেবে চিন্তা করলে আমাকে পেস বোলারদের বোলিং করাতে হবে, তারা বোলিং না করলে শিখবে না। আর এই কারণে হয়তো উইকেটটা সেভাবে তৈরি করা। এটা আসলে চ্যালেঞ্জ না। আমরা তৈরি ছিলাম যে এমন কিছু করতে পারবো। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে আমরা জিনিসটা বেশ ভালোভাবে হ্যান্ডেল করতে পেরেছি।''

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে