বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০২:৪০:১৪

সৌম্যের বিয়েতে মোবাইল চু'রি, মা'রামা'রি

সৌম্যের বিয়েতে মোবাইল চু'রি, মা'রামা'রি

স্পোর্টস ডেস্ক: সানাইয়ের সুর, ঢোলের তাকধুম এক উৎসবমুখর পরিবেশ। রঙচঙে বাহারি পোশাক আর নানা বর্ণের সজ্জা। এমন জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে খুলনা ক্লাবে গাঁ'টছড়া বাঁ'ধছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার। এমন এক মোহনীয় ক্ষ'ণে দুটি পরিবারের মিলনমেলার ভি'ড়ে মোবাইল চুরিকে কে'ন্দ্র করে শুরু হয় হ'ট্টগো'ল।

সৌম্যের বাবা কিশোরী মোহন সরকার, বরযাত্রী শিল্পপতি দ্বীনবন্ধু মিত্র ও সৌম্যের বন্ধু অলিসহ তার স্বজনদের সাতটি মোবাইল চু'রি হয়। এ সময় সৌম্যের মেঝ ভাই ইনকাম ট্যাক্সের ডেপুটি কমিশনার প্রণব কুমার সরকার খুলনা ক্লাবের কর্মচারীদের মোবাইল চু'রির বিষয়ে অবহি'ত করেন এবং চো'রদের ধ'রতে যান। চো'রের পক্ষ হয়ে ক্লাবের কয়েকজন কর্মচারী তারের সঙ্গে খারা'প আচ'রণ করেন, তাদের ওপর দফা'য় দফা'য় হাম'লা চালান। প্রায় আধাঘণ্টা থ'মকে যায় পুরো বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তখন সাতপাকে ঘু'রছিলেন বর। যে কারণে তিনি উ'ঠে আসতে পারেননি।

সৌম্য সরকারের মামা স্বদেশ কুমার সরকার বলেন, প্রচ'ণ্ড ভি'ড়ে গেট থেকে ঢোকার সময় দ্বীনবন্ধু মিত্রের মোবাইল চু'রি হয়ে যায়। এরপর সৌম্যের বাবা ও বন্ধু অলিরটাসহ সাতটি মোবাইল চু'রি হয়। চো'রদের হা'তেনা'তে ধ'রে ফে'ললে খুলনা ক্লাবের কর্মচারীরা আমাদের ওপর হা'মলা চা'লায়।তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাটি খুলনা ক্লাব কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রথমেই আ'মলে নিলে সৌম্যের স্বজনদের মা'র খে'তে হতো না।

প্রত্য'ক্ষদর্শীরা বলেন, মোবাইল চু'রি হওয়ার পর হা'রানো মোবাইল নম্বরে ফোন দেন সৌম্যের স্বজনরা। তখন একজনের কাছে মোবাইল বে'জে ওঠে। তাকে ধ'রলে তার কাছে পাঁচটি মোবাইল পাওয়া যায়। এ নিয়ে গ'ণ্ডগো'লোর সূ'ত্রপা'ত হয়।

আ'ক্ষে'প করে সৌম্যের এক স্বজন বলেন, তারকা এ ক্রিকেটারের বিয়েতে এ ধরনের ঘট'নায় আমরা ল'জ্জি'ত, অপমা'নিত। সৌম্যের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সামনে এসে ভূমিকা নেয়া উচিত ছিল। যেহেতু সৌম্যের স্বজনরা তাদের মেহমান। মেহমানের অপ'মানে তাদেরও অপ'মানিত হওয়ার কথা কিন্তু তাদের মধ্যে তেমন প্র'তিক্রি'য়া দেখা যায়নি।

এদিকে ঘটনার পর খুলনা ক্লা'বে বিপু'ল সংখক আইনশৃ'ঙ্খলা র'ক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। পরে পুলিশ ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন লোকজন সৌম্যের অভিভাবকদের সাথে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুল বলেন, মোবাইল চু'রিকে কেন্দ্র করে খুলনা ক্লাবের স্টাফ ও বরযাত্রীর লোকদের সঙ্গে ঝ'গড়া হয়েছে। সেখানে কাউকে মা'রধ'রের ঘট'না ঘ'টেনি, তবে ভি'ড়ের মধ্যে কারও গায়ে একটু ধা'ক্কা লাগতে পারে। দুই চোর থানায় আট'ক আছে। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল উ'দ্ধা'র করা হয়েছে। তাদের জি'জ্ঞা'সাবাদ করা হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে