সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৭:২৪:০১

রেকর্ড বুকে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলংকা ম্যাচ

রেকর্ড বুকে নিউজিল্যান্ড-শ্রীলংকা ম্যাচ

স্পোর্টস ডেস্ক: নিউজিল্যান্ড সফরে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে পরাজিত হওয়া শ্রীলংকার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচটা ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু ঘটেছে উল্টোটা। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে শ্রীলংকান দল কিউই বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ২৭.৪ ওভারে ১১৭ রানেই অল আউট হয়ে যায়। এরপর কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিলের ব্যাটিং ঝড়ে নিউজিল্যান্ড সফরের দ্বিতীয় ওডিআইতে ১০ উইকেটে পরাজয়ের লজ্জা পায় প্রথম ম্যাচেও হেরে যাওয়া শ্রীলংকা। সোমবার ক্রাইস্টচার্চে ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান এবং ম্যাট হেনরি’র তোপের মুখে লংকান ব্যাটসম্যানদের কেউই ২০ রানের কোটা অতিক্রম করতে পারেননি। দ্বীপরাষ্ট্রটির পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে কাপুগেদারার ব্যাট থেকে। পাঁচ ব্যাটসম্যান ফেরেন এক অংকের কোটায়। একজন ব্যাটসম্যান আউট হন রানের খাতা খোলার আগেই। ফলে মামুলি একটা সংগ্রহ গড়েই অল আউট হয় শ্রীলংকা। ম্যাট হেনরি চারটি এবং ম্যাকক্লেনাঘান তিনটি উইকেট শিকার করেন। জয়ের জন্য ১১৮ রানের টার্গেট এই মুহুর্তে নখরদন্তহীন লংকান বোলিং ডিপার্টমেন্টের বিপক্ষে কিউই ব্যাটসম্যানদের জন্য তেমন কঠিন কিছু ছিলনা। হয়েছেও তাই। ব্ল্যাক ক্যাপসদের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল এবং টম লাথাম হেসে খেলে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। এর মধ্যে গাপটিল রীতিমত ঝড় বইয়ে দেন লংকান বোলারদের ওপর দিয়ে। তিনি মাত্র ৩০ বলে ৯টি বাউন্ডারি এবং ৮টি ছক্কার মারে ৯৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। এদিন মার্টিন গাপর্টিল হার না মানা ৯৩ রানের ইনিংস ওয়ানডে ক্রিকেটের কয়েকটি রেকর্ডে পরিবর্তন এনেছে। ৩০০ বলের ইনিংসে ২৫০ বল হাতে রেখেই ম্যাচটি জিতে নিয়েছে নিউ জিল্যান্ড, যা ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সাত নম্বর ঘটনা। এর আগে নিউ জিল্যান্ড ৩ বার, শ্রীলংকা ২ বার, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া ১ বার করে এ কীর্তি গড়েছে। তবে নিউ জিল্যান্ডই একমাত্র দল যারা ২৫০ বল ও ১০ উইকেট হাতে রেখে জয় পেয়েছে। এ ম্যাচে ওভারপ্রতি ১৪.১৬ রান রেট অতিক্রম করে জয় পেয়েছে নিউ জিল্যান্ড, যা ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় রান রেট চেজের ঘটনা। এর আগে ২০০৭ সালে নিউ জিল্যান্ডই ৬ ওভারে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯৪ করে জয় পেয়েছিল। যেখানে তারা ওভারপ্রতি ১৫.৮৩ রান রেট অত্রিক্রম করেছিল, এটিই ওয়ানডের সর্বোচ্চ রান রেট অতিক্রমের ঘটনা। এ দুটিসহ ওয়ানডের সর্বোচ্চ ৪টি রান রেট অতিক্রমের কৃতিত্বও নিউ জিল্যান্ডের। ১৭ বলেই হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মার্টিন গুপ্তিল, যা ওয়ানডের ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে জোহানেসবার্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬ বলে এবি ডি ভিলিয়ার্স হাফ সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েছিলেন। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে চলতি বছরের শুরুতে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। ৩১০ স্ট্রাইক রেটে ৩০ বলে ৯৩ রান করেছেন মার্টিন গুপ্তিল। ওয়ানডেতে ইনিংসে ৫০ এর বেশি রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট। এর আগে সর্বোচ্চ ৩৩৮.৬৩ স্ট্রাইক রেটে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ৪৪ বলে ১৪৯ রান করেছিলেন। দলগতভাবে এ ম্যাচে ৩৯ বলে ১০০ রান করেছে নিউ জিল্যান্ড, ২০০২ সালের পর এটিই দলীয় দ্রুততম শতক। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এবারের বিশ্বকাপে ৪০ বলে শতরান করেছিল নিউ জিল্যান্ড। এছাড়া ২০০২ সালের পর এ ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুততম দলীয় অর্ধশত রানও (১৬ বলে ৫০) হয়েছে। এ ম্যাচে দুই ওভার বল করে ২০.৫০ গড়ে ৪১ রান দিয়েছেন শ্রীলংকার দুশমান্ত চামিরা, যা ইনিংসে দুই বা তার বেশি ওভার করা বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খরুচে ইকোনমি রেট। শ্রীলংকার করা ১১৭ রান দলটির চতুর্থ সর্বনিম্ন রান। এর আগে ২০০৭ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এই ক্রাইসচার্চেই ১১২ রানে অলআউট হয়েছিল দলটি। আর এ নিয়ে ৫ বার ২০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে শ্রীলংকা। চলতি সিরিজেই প্রথম ওয়ানডেতে দলটি ১৮৮ রানে অলআউট হয়েছে। এছাড়া নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯৫, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৩৩ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮১ রানে অলআউট হয়েছিল শ্রীলংকা। দলগত ৫০ বল মোকাবিলায় ব্যক্তিগত ৯৩ রান করেছেন গুপ্তিল। যেটি ২০০২ সালের পর ৫০ বলের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। এর আগে নিউ জিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওই ইনিংসটি খেলার ম্যাচে ২০০৭ সালে বাংলাদেশ ৬ ওভারেই কুইংসটাউনে হেরে গিয়েছিল। ২৮ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে