মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০২:০৭:৪৩

ঝড় তোলার অপেক্ষায় তাসকিন

ঝড় তোলার অপেক্ষায় তাসকিন

স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৫ সালটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দারুণ এক স্বপ্নের বছর। পুরো বছর জুড়ে টাইগার শিবিরে ছিল আনন্দের ছড়াছড়ি। এছাড়া বছরটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বেশ কয়েকজন সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার পেয়েছে। তাদের একজন তাসকিন আহমেদ। যিনি ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাধে বিশ্বসেরাদের আসর বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। আসরটিতে নেমেই চমক দেখান তাসকিন। ৬ ম্যাচ খেলে নিজের ঝুলিতে ভরেন ৯ টি মহা মূলব্যান উইকেট । বিশ্বকাপে ভালো করলেও ঘরের মাঠের সিরিজগুলোতে সেভাবে নিজেকে রাঙাতে পারেনিতাসকিন। ভারত সিরিজে চোটে পড়ে দর্শক গ্যালারিতে স্থান হয়েছিল তার। এর পরবর্তিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজও মাঠের বাহিরে থাকতে হয়েছে তাকে। চোট কাটিয়ে ‘এ’দলের হয়ে সেপ্টেম্বরে গিয়েছিলেন ভারত সফরে। কিন্তু সেখানে আবারো চোটের হানা। সফর অসমাপ্ত রেখেই চলে আসতে হলো দেশে। পুনর্বাসন শেষে প্রাথমিক দলে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত খেলা হয়নি নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজও। র্দীঘ বিরতির খেলতে নামেন বিপিএলে। কিন্তু সেভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পারেননি তাসকিন। ৭টি ম্যাচ খেলে পেয়েছেন মাত্র ৪টি উইকেট। আর এ জন্য খানিকটা মন খারাপ তাসকিনের। বলেন, ‘বিপিএলে দারুণ কিছু করতে পারলে ভালো হতো। তবে আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন। দারুণ কিছু করতে না পারায় নিজের ভেতর ভালো করার তীব্র ক্ষুধা কাজ করছে।’ চোট আর পেছনের ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে নতুন বছরে নতুন রূপেই মাঠে ফিরতে চান তাসকিন, ‘বিপিএলের আগে আট সপ্তাহের পুনর্বাসন করেছি তাই চোট নিয়ে এখন আর কোন ভয় নেই। চোট থেকে সেরে উঠে সরাসরি বিপিএল খেলেছি। যদিও বিপিএলের শুরুতে নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারিনি। তবে শেষ দিকে ভালো হয়েছে। সামনে আরো ভালো হবে ইনশা আল্লাহ।’ ছুটিতে নিজেকে ভালোভাবে ঝালিয়ে নিচ্ছেন তাসকিন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে খেলেছেন একটি প্রস্তুতি ম্যাচও। সেখানে ১০ ওভার বল করে ৩০ রান করে পেয়েছেন ২ টি উইকেটও। তাসকিনের আত্মবিশ্বাসের পারদটাও ওপরে উঠছে ধীরে ধীরে, ‘ছুটিতেও অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। পুরোনো আত্মবিশ্বাস আবারও ফিরে পাচ্ছি।’ সবমিলিয়ে ২০১৫ বছরটা বাংলাদেশ দলের ভালো কেটেছে। তাই তাসকিনও চান দেশের রঙে নিজেকে রাঙাতে। বলেন, ‘২০১৫ দারুণ কেটেছে দলের। এমনকি আমারও। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছিলাম। কিছু ভালো ভালো স্পেল ছিল। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিরিজের অংশও হতে পেরেছি। যদিও শেষ কয়েকটি সিরিজ খেলতে পারিনি চোটের কারণে। তবে যেটা হয়ে গেছে, সেদিকে তাকিয়ে তো লাভ নেই। হয়তো পরের ম্যাচে ভালো খেলতে প্রেরণা দেবে পেছনের সাফল্য। তবে ওগুলো ওখানেই শেষ। প্রতিটি ম্যাচই নতুন। সামনে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটাই দেব।’তথ্যসূত্র : নয়াদিগন্ত ২৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে