মঙ্গলবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৪:০৫:২১

তুমুল আলোচনায় সেই পাকিস্তানি পেসারের মৃত্যু রহস্য

তুমুল আলোচনায় সেই পাকিস্তানি পেসারের মৃত্যু রহস্য

স্পোর্টস ডেস্ক : জনপ্রিয় টিভি সিরিজ এক্স ফাইলসের কথা মনে আছে? এফবিআইয়ের দুজন এজেন্ট মিলে বিভিন্ন রহস্যের সমাধান করতে নামতেন কিন্তু প্রায়ই দেখা যেত একটা ‘কিন্তু’ রেখেই শেষ হতো পর্বগুলো। প্রশ্নের উত্তর না জানার হতাশাটা মানুষকে কাবু করে সব সময়। এমন এক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে ফিরছে ক্রিকেট দুনিয়াও। ৬ বছর পরও আসিম বাটের মৃত্যুকে নিয়ে ​তৈরি হওয়া রহস্য এখনো কাটেনি। ফের তুমুল আলোচনায় পাকিস্তানি পেসারের মৃত্যু রহস্য। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত আসিমের মৃত্যু হয়েছে ২০০৯ সালের নভেম্বরে। নিজের জন্মস্থান লাহোরে ঘুরতে এসে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তখন জানা গিয়েছিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে এই ক্রিকেটারের। কিন্তু পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই মিডিয়াম পেসারের স্ত্রী তারা বাট ২০১১ সালের দিকে আসিমের মৃত্যু নিয়ে প্রথম সন্দেহ প্রকাশ করেন। এমনকি আসিমের মৃত্যু সাজানো নাটকও হতে পারে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। এরপরই নড়েচড়ে ওঠে সবাই। স্কটল্যান্ডের হয়ে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছিলেন আসিম। কিন্তু এরপরই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে ক্রিকেট থেকেই নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। পরিবারেও সৃষ্টি হয় অশান্তি। ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে তিন সন্তানকে নিয়ে মিসরে পাড়ি জমান। আইনের চোখে বিচ্ছেদ না হলেও কার্যত আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন দুজন। এরই মাঝে মৃত্যু হয় আসিমের। সন্তানদের জন্যই স্বামীর মৃত্যু সনদের প্রয়োজন হয় তারার। কিন্তু দুই বছর চেষ্টা করেও তা জোগাড় করতে পারেননি সেটি। এ ব্যাপারে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারাকে জানানো হয়, নির্দিষ্ট ওই দিনে এ নামে কারও মৃত্যুই নাকি হয়নি! এ ব্যাপারে কোনো তথ্য প্রমাণ নেই। আসিমের পরিবার থেকে এ ব্যাপারে অসহযোগিতা করা হয়েছে পুরোটা সময়। তখনই তারার সন্দেহ হয়, আসিমের মৃত্যুর ঘটনাটি সাজানো। মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকায় কিংবা দেনার দায় থেকে বাঁচতে নিজের মৃত্যুর ঘটনাটি সাজিয়েছেন তিনি। লুকিয়ে পালিয়ে গেছেন হয়তো কোথাও। আসিমের ভাই আমির বাট তারার এ অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছিলেন, প্রায় ১ হাজার লোক আসিমের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় এসেছিল। এতজন মানুষকে তো ধোঁকা দেওয়া অসম্ভব। কিন্তু আমিরের এমন কথার উত্তরে তারা জানিয়েছিলেন, মৃত্যুসনদ পাঠিয়েই সে প্রমাণ দেওয়া হোক। অদ্ভুত ব্যাপার হলো শেষ পর্যন্ত তারার আইনজীবীও আসিমের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত কোনো তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে পারেননি। ঠিক যেন এক্স ফাইলসের সেই সব পর্বগুলোর একটি, রহস্যের সমাধান করতে করতে পুরো সময়টি পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনো সদুত্তর পাওয়া গেল না। আসিমকে হয়তো বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাও মনে রেখেছেন। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেই স্মরণীয় জয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছিলেন তিনিই। এরপর পথ হারিয়ে অন্ধকার জগতে জড়িয়ে পড়েন।-প্রথম আলো ২৯ ডিসেম্বর ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে