ঢাকা টেস্টে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্বস্তি নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের পর বোলাররাও ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়। গতকাল শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর দিকে ক্যারিবীয়দের ৩ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। আজ রবিবার টাইগাররা বোলাররা দাপট দেখায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর। টাইগাররা বোলারদের দাপটে ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার ফলে ঢাকা টেস্ট জিততে বাংলাদেশের টার্গেট ২৩১ রান।
এর আগে সফরকারীরা প্রথম ইনিংসে করে ৪০৯ রান। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় ২৯৬ রানে। ১১৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে ২১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান করে উইন্ডিজ। এতে ক্যারিবিয়ানদের দিন শেষে লিড হয় ১৫৪ রানের।
আজ রবিবার ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা মিরপুর শের-ই-বাংলায় সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয়। চতুর্থ দিনের পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশকে সাফল্যে এনে দেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। নাইটওয়াচম্যান জোমেল ওয়ারিক্যানকে ফেরান তিনি। রাহীর সোজা ডেলিভারীতে বল মিস করে এলবিডব্লিউ হন ওয়ারিক্যান। ২২ বলে ২ রান করেন তিনি। ওয়ারিক্যানের ফেরার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ৫০।
এরপর ফের ক্যারিবীয় শিবিরে আঘাত হানেন আবু জায়েদ রাহী। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে তিনি পান আরেকটি উইকেট। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে সাজঘরে ফেরেত যান কাইল মায়ার্স। আবু জায়েদের লেন্থ বল সোজা ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন চট্টগ্রাম টেস্টের এই ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। বলের লাইনে ব্যাট নিতে পারেননি তিনি। এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৬ রানে। তার আউটের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫ উইকেটে ৬২।
মায়ার্সের বিদায়ের ১১ রান পরই নিজেদের ষষ্ঠ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাইজুল ইসলামের বলে এই ব্যাটসম্যানকে স্টাম্পিং করে ফেরান উইকেটরক্ষক লিটন দাশ। আউট হওয়ার আগে তিনি ১০ বলে ৯ রান করেন। দলের রান তখন ৭৩। এরপর আর কোনও উইকেট না হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথমে জশুয়া ডি সিলভা (২০) ও পরে আলজারি জোসেফ (৯)-কে সাজঘরের পথ দেখান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। জশুয়া তার অফস্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন। জোসেফ ক্যাচ দেন কভারে। শর্ট কভারে তার ড্রাইভ মুমিনুলের কাঁধে লেগে শান্তর হাতে জমা হয়।
ক্যারিবিয়ান শিবিরের শেষ ২ উইকেট তুলে নেন স্পিনার নাঈম হাসান। এনক্রোমার বোনার তার বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ৩৮ রানে। ওই ওভারের পঞ্চম বলে রাকিম কর্নওয়াল (১) তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। শেষ ২ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং অর্ডারের লেজ মুড়ে দেন এই ডানহাতি স্পিনার। ১১৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েষ্ট ইন্ডিজ। আর জয় পেতে বাংলাদেশের দরকার ২৩১ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাইজুল ইসলাম ৪টি, নাঈম হাসান ৩টি, আবু জায়েদ রাহী ২টি ও মেহেদি হাসান মিরাজ ১টি উইকেট দখল করেন।