স্পোর্টস ডেস্ক: নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান ২৪১। এই মাঠে বড় স্কোর হয়েছে প্রায় সবকটি ম্যাচেই। আজও সেই পথে ছিল নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টি বাগড়া না দিলে অনায়াসে দুইশ রান পার করতে পারত কিউইরা।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ কিউইদের আমন্ত্রণ জানায় ব্যাট করার। এর কারণ অবশ্য আবহাওয়া ছিল।
ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালেনের জুটি আভাস দেয় বড় সংগ্রহের। তবে অ্যালেনকে ১৭(১০) রানে ফিরিয়ে ৩৬ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ।
টাইগার বোলারদের উপর চড়াও হওয়া মার্টিন গাপটিলকে ফেরান সাইফউদ্দিন। তার ২১ রানের মাথায় ফাইন লেগে তাসকিনের দুর্দান্ত ক্যাচ বোকা বানায় কিউই ওপেনারকে।
এরপর ডেভন কনওয়েকে ১৫ রানে ফেরান শরিফুল ইসলাম। উইল ইয়ংও ১৪ রানে কাটা পড়েন মেহেদী হাসানের বলে।
তবে গ্ল্যান ফিলিপসের ৩১ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের সঙ্গে ড্যারেল মিচেলের ১৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে ১৭.৫ ওভারেই ১৭৩ রান তোলে কিউইরা। এরপর আর ব্যাট করতে নামা হয়নি বৃষ্টি বাধায়।
বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন মেহেদী, ১টি করে নেন সাইফউদ্দিন, তাসকিন ও শরিফুল।
বৃষ্টি আইনে ম্যাচ নেমে আসে ১৬ ওভারে। তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭০ রান। ব্যাট করতে নেমে ওপেনার লিটন দাস ৬ রান করে ফিরলে নাঈম শেখকে নিয়ে ৮৮ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার।
সৌম্যর একের পর এক বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারিতে একটা সময় মনেই হচ্ছিল জিতে যাবে বাংলাদেশ। নাইম শেখ বেশির ভাগ সময়েই স্ট্রাইক দিয়েছেন সৌম্যকে।
তবে ২৭ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে সৌম্যর বিদায়ের মাধ্যমে আবারও থেমে যায় রানের চাকা। নাঈম শেখও সাজঘরে ফেরেন ৩৫ বলে ৩৮ রান করে।
এরপর মাহমুদউল্লাহ’র ১২ বলে ২১ আর মেহেদীর ৬ বলে ১২ রান শুধু ব্যাবধান কমিয়েছে হারের। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট যাওয়ায় ৭ উইকেটে ১৬ ওভারে ১৪৭ রানে থামতে হয়েছে টাইগারদের।
কিউইদের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন টিম সৌদি, হামিশ ব্যানেট, অ্যাডাম মিলনে। বাকি ১ উইকেট নিয়েছেন গ্ল্যান ফিলিপস।