স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএলে এবারের আসরে সবমিলিয়ে মোস্তাফিজ ভালোই করেছেন, কাটার আর স্লোয়ারে নিয়মিতই বিভ্রান্ত করেছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের। এবারের আসরে নিজের প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকার পরও তাই কাটার মাস্টারের ওপর আস্থা হারায়নি রাজস্থান। বাদ দেয়নি একাদশ থেকে।
সেই আস্থার প্রতিদান ফিজ দিয়েছেন পরের ম্যাচেই। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৯ রান খরচ করে নেন ২ উইকেট। ওই ম্যাচটি জেতে তার দলও। এরপর থেকে প্রতি ম্যাচেই খেলছেন মোস্তাফিজ। সপ্তম ম্যাচে এসে এবারের আসরে নিজের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স দেখালেন বাঁহাতি এই পেসার।
আজ (রোববার) সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে রাজস্থানের জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন মোস্তাফিজ। ব্যাটিং সহায়ক পিচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রাজস্থানকে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন। করেছেন ভীষণ মিতব্যয়ী বোলিং, তুলে নিয়েছেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ৪ ওভারে খরচ করেন মাত্র ২০ রান।
২২১ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করছিল হায়দরাবাদ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মোস্তাফিজের হাতে বল তুলে দেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। বাউন্ডারি হজম করে শুরু করলেও ওই ওভারে সবমিলিয়ে মোটে ৭ রান খরচ করেন টাইগার পেসার।
এরপর বিরতি দিয়ে সপ্তম ওভারে আবারও মোস্তাফিজকে ডাকেন স্যামসন। হায়দরাবাদের দুই ওপেনার মনিশ পান্ডে আর জনি বেয়ারস্টো তখন ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন। পাওয়ার প্লের প্রথম ছয় ওভারেই তুলে ফেলেছেন ৫৭ রান।
এমতাবস্থায় মারমুখী মনিশকে (২০ বলে ৩১) ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড করেন মোস্তাফিজ, হাঁফ ছেড়ে বাঁচে রাজস্থান। ওই ওভারে মোস্তাফিজ দেন মাত্র ৪ রান। এই ধাক্কাতেই অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে হায়দরাবাদ। চাপে বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে।
১৪ ওভার শেষে ৪ উইকেটে হায়দরাবাদের সংগ্রহ ছিল ১২৪ রান। ১৫তম ওভারে আবারও আক্রমণে আসেন মোস্তাফিজ। এবার তিনি তু্লে নেন দুই ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ শুরু করা মোহাম্মদ নবিকে (৫ বলে ১৭)। টাইগার পেসারের অফকাটার বুঝতে না পেরে এক্সট্রা কভারে ক্যাচ তুলে দেন নবি। ওই ওভারে মোস্তাফিজ দেন মাত্র ৩ রান।
১৮তম ওভারে এসে আরও এক উইকেট নেন মোস্তাফিজ, এবার তার শিকার রশিদ খান। ওই ওভারে শেষ বলটিও আউটের মতো ছিল। তার ইয়র্কার কিপার আর শর্ট থার্ডম্যানের ফাঁক গলে বাউন্ডারি হয়ে যায়। তারপরও ওভারে ৭ রানের বেশি দেননি ফিজ।
সবমিলিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় মোস্তাফিজ শিকার করেন ৩ উইকেট। যেটি এবারের আইপিএলে কাটার মাস্টারের সেরা বোলিং ফিগার।