মাহমুদউল্লাহ তার যোগ্যতার চরম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। ক্রিকেটে এক নজিরবীহিন ঘটনা ঘটালেন মাহমুদউল্লাহ! দলের বিপর্যয়ে তাকে যে বড় প্রয়োজন আবারো চোখে আঙ্গুল দিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দিলেন।
বাংলাদেশ দল টেস্টে যেন খই হারিয়ে ফেলেছিলেন! ডাক পড়ল মাহমুদউল্লাহর, নির্বাচকদের ডাকের যথার্থ মূল্যই দিয়েছেন। হারারেতে প্রথম দিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় দল যখন ধুঁকছিলো, হাল ধরেন রিয়াদ। প্রথম দিনই তুলে নেন ফিফটি। তাসকিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে শেষ করেন দিন। দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই তাসকিন ও মাহমুদউল্লাহ জুটি দারুণ খেলেছেন। জিম্বাবুয়ে বোলারদের কোনো সুযোগই দেন নাই।
লাঞ্চ বিরতির আগেই মাহমুদউল্লাহ নিজের পঞ্চম সেঞ্চুরি আর তাসকিন তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি।লাঞ্চের পরেও চলতে থাকে তাদের ব্যাটিং দাপট। আর এর মধ্যেই এই জুটি গড়েছে অনন্য এক রেকর্ড। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হয়ে গেছেন ইতিহাসের অংশ।
টেস্টে নবম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ১৮৪। ২০১২ সালে খুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই রেকর্ড করেন আবুল হাসান রাজু ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এদিকে অভিষেকে ১০ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে হৈ-চৈ ফেলে দেন রাজু। মাহমুদউল্লাহ করেছিলেন ৭৬ রান।
এক প্রান্তে মাহমুদউল্লাহ আর অপর প্রান্তে তাসকিন, তাতেও ছাড়িয়েছে দেড়শ’ রান। টেস্ট ইতিহাসে নবম উইকেটে এক ব্যাটসম্যানের দুইবার দেড়শ’ ঊর্ধ্ব জুটিতে থাকার কোনো নজির নেই।