বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের রণপ্রস্তুতি শুরু। ব্যাপক স্টাডি করেই এগোচ্ছে বিসিবি। আর চিন্তাধারায় রয়েছে কোন খেলোয়াড়কে কোথায় রাখলে দলের জন্য সবচেয়ে বেশি মঙ্গলজনক হবে। এদিকে বাংলাদেশের টি-২০ দলে নেই মেহেদী হাসান মিরাজ। অফস্পিনারের মূল ভূমিকায় এখন শেখ মেহেদী হাসান। বোলিং করতে হয় নতুন বলে, পাওয়ার প্লেতে। যে দায়িত্বটা সবসময় উপভোগ্য থাকে না। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে অনেক সময়ই উপভোগের মন্ত্র তিমিরে হারিয়ে যায়।
বাংলাদেশের জার্সিতে ২০১৮ সালে অভিষেক হলেও মেহেদী এখন পর্যন্ত ১৪ টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। তার শিকার তালিকায় আছে ১০ উইকেট। বল হাতে এখনই আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন মেহেদী, তা বলা যাবে না।
তবে এটুকু নিশ্চিত যে, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ ভাবনায় অফস্পিনে মেহেদীই হচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ-ডমিঙ্গোর মূল অস্ত্র। দেশের মাটিতে কার্যকর হলেও বিদেশে রান আটকাতে পারছেন না তিনি। দেশে স্পিনসহায়ক, স্লো-লো বাউন্সের উইকেটে ৮ ম্যাচে ওভার প্রতি ৬.৪৬ রান দিয়েছেন, বিদেশে ৬ ম্যাচে ওভারপ্রতি ১০.৮১ রান গুনছেন তিনি। অর্থাত্ একটু ভালো উইকেট হলেই মেহেদীর বোলিং থেকে প্রয়োজনীয় সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে না।
ঠিক এই বিষয়েই উন্নতি আনতে চান ২৬ বছর বয়সি এ ক্রিকেটার। ভালো কন্ডিশনেও দলের গুরুভার পালনে সচেষ্ট তিনি। অজুহাত না দিয়ে বরং নিজের বোলিংয়ে উন্নতি আনাই তার লক্ষ্য। গতকাল অনুশীলনের পর এমনটাই বলেছেন মেহেদী। দেশের বাইরে বোলিং নিয়ে পরিকল্পনার জানাতে গিয়ে এ স্পিনিং অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘ভিন্ন দেশে খেলতে গেলে ভিন্ন পরিকল্পনার প্রয়োজন। বাংলাদেশে যেরকম, অন্যদেশে একরকম নয়। অবশ্যই এক্ষেত্রে পরিকল্পনা আছে।’
স্পিন কোচ, হেড কোচের সঙ্গে মাঠে সিনিয়রদের পরামর্শ নেন মেহেদী। তিনি বলেন, ‘যেহেতু ক্রিকেট খেলোয়াড়, সব কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। এখানে কোনো অজুহাতের জায়গা নেই। চ্যালেঞ্জ নিতে গেলে সব জায়গায় ভালো করার বিকল্প নাই। উন্নতি করতেই হবে।’