মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৫৫:৫৩

এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত দেখা যাবে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম

এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত দেখা যাবে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম

আম্পায়ারের এক ভুল সিদ্ধান্তই বদলে দিতে পারে ম্যাচের চিত্রপট! ম্যাচের ভিলেন হয়ে উঠতে পারে আম্পায়ার। আবার কখনও কখনও উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বাধা হতে পারে বৃষ্টি, যা বদলে দেয় খেলার অবস্থা, খেলার সৌন্দর্য। 

 তাই তো টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ কে সামনে রেখে এবারের ৭ম আসরে আইসিসি আনতে যাচ্ছে নতুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। যা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য। বাচিয়ে দিতে পারে আম্পায়ার কে ভিলেন বানানো থেকে কিংবা বৃষ্টির থাবা থেকে বাচিয়ে দিতে পারে ম্যাচ! 

টিটুয়েন্টি বিশ্বকাপ মানে যেন বাড়তি উন্মাদনা , এ নিয়ে যেন মাতামাতির যেন শেষ নেই। একের পর এক টিটুয়েন্টি লীগ যেন আগুনে উন্মাদনায় ঢেলেছে বাড়তি ঘি। একটা সিদ্ধান্ত, একটা ভুল যেন ছিটকে দিতে পারে ম্যাচ থেকে। হোক সে অধিনায়ক, ফিল্ডার কিংবা আম্পায়ারের, ভুল তো ভুলই।

গত ৬ আসরে যেন জিনিসের এতদিন অনুপস্থিতি ছিল সেই জিনিসটাই যে এবার দেখা যাবে আসন্ন ভারত ২০২১ বিশ্বকাপে। এবারের আসরে প্রথমবারের মত দেখা যাবে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডি. আর. এস। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সাথে প্রথম পরিচয় হয় এই ডি. আর. এস এর। টেস্ট ম্যাচে প্রথমবার ব্যবহার এই নিয়ম টি। ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০১১ সালে প্রথমবার ব্যবহার হলেও আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে এর জন্য অপেক্ষা করতে হয় আরও ৬ বছর। অবশেষে ২০১৭ সাল থেকে আন্তর্জাতিক টিটুয়েন্টি তে দেখা যায় ডি. আর. এস এর ব্যবহার।

এবারের বিশ্বকাপ কে সামনে রেখে প্রতি ইনিংসে একটি দল রিভিউ পাবে দুটি করে। অর্থাৎ ম্যাচে একটি দল সুযোগ পাবে ৪ টি রিভিউ। থাকছে রিভিউ রিটেইনের নিয়ম অর্থাৎ যদি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কারনে রিভিউ নেয়া দল ন্যায্য সিদ্ধান্ত না পায় তবুও তাদের রিভিউ বেচে যাবে। 

আসন্ন বিশ্বকাপে যে এই সিদ্ধান্ত অনেক বড় অবদান রাখতে যাচ্ছে সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। কারন বিগত বছরগুলোয় দেখা গিয়েছে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কারনে ম্যাচের ফলাফল বদলে যেতে। তাই এবার আর সেই ঝুকি নেয় নি আইসিসি। এজন্যেই বিশ্বকাপের মাত্র এক সপ্তাহ আগেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে তারা।

এছাড়াও ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি নিয়ে এসেছে আরও একটি সিদ্ধান্ত। টিটুয়েন্টি ক্রিকেটে সাধারণত এর প্রয়োগ করতে খেলতে হয় অন্তত ৫ ওভার। এই সিদ্ধান্তে ঠিকই বহাল থাকবে আইসিসি তবে যখন সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে তখন ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য অন্তত খেলতে হবে ১০ ওভার, নয়ত নেয়া হবে বিকল্প সিদ্ধান্ত। 

আর এই সিদ্ধান্ত টি হচ্ছে মূলত রিজার্ভ ডে এর। অর্থাৎ কোন কারনে ম্যাচ টি না হলে আরেকদিন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এবারের বিশ্বকাপের ৭ম আসরে অংশ নেয়ার জন্য বাংলাদেশ কে পেরোনো লাগবে বাছাই পর্ব। র‍্যাংকিং এ প্রথম ৮ দল সরাসরি সুযোগ পেয়েছে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে খেলার। আইসিসির বেধে দেয়া নির্দিষ্ট সময়ে বাংলাদেশ ৮ এর মধ্যে না থাকতে পারার কারনে এখন ৬ষ্ঠ স্থানে থাকলেও বাংলাদেশ কে ঠিকই খেলতে হচ্ছে বাছাই পর্ব।

সেখানে বাংলাদেশ কে মোকাবেলা করতে হবে স্কটল্যান্ড, স্বাগতিক ওমান ও পাপুয়ানিউগিনি কে। সাম্প্রতিক ফর্ম কিংবা প্রতিপক্ষ বিবেচনায় বলাই যায় বাংলাদেশ নিশ্চিত ভাবেই খেলতে সুপার টুয়েলভে। শুধু দেখার বিষয়, বাংলাদেশ সেখানে কতটুকু প্রত্যাশা পূরন করতে পারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে