আজ শক্তিশালী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দেখাতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। খেলা শুরুর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের কোচ ডমিঙ্গো।
তিনি বলেন, এখন তারা মন দিতে চান মাঠের ক্রিকেটে। যখন বাইরের সমালোচনার মতো ব্যাপারগুলোতে মনোযোগ দিতে হয়, তখন আমাদের আসলেই মনোযোগ সরে যায়। কোথায় মনোযোগ দিতে হবে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ ও কড়া কথা হয়েছে। মনোযোগ দেওয়ার জায়গাটা হলো ক্রিকেট।
প্রথম রাউন্ডের চেয়ে এবার চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন। আরও শক্তিশালী সব দলের বিপক্ষে নিজেদের সামর্থ্যের পরীক্ষা দিতে হবে। তবে ওমানের চেয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা বেশি। ওমানের উইকেটে স্পিনারদের জন্য তেমন সহায়তা ছিল না, লড়াই করতে হয়েছে শিশিরের সঙ্গে। এবার বাংলাদেশের সব ম্যাচ স্থানীয় সময় দুপুরে এবং এমন উইকেটে, যেখানে স্পিনারদের জন্য বেশ সুবিধা আছে। বাড়তি স্পিনার খেলানোর কথাও এখন ভাবতে পারে বাংলাদেশ। এই সুবিধাকে অনেক বড় করে দেখছেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
শারজাহর উইকেট দেখে মিরপুরের উইকেটের কথাই মনে পড়ছে ডমিঙ্গোর। ততটা স্পিন ধরলে সাকিব-মেহেদি হাসান এবং সুযোগ পেলে নাসুম আহমেদ কী করতে পারেন, তা জানা আছে বাংলাদেশ কোচের। লঙ্কান স্পিনারদেরও এমন উইকেটে ভালো না করার কোনো কারণ নেই। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তারা সেটা করেও দেখিয়েছে। তবে শ্রীলঙ্কার বোলারদের নিয়ে অতটা ভাবছে না বাংলাদেশ। ডমিঙ্গোর ভাবনা নিজের দলকে নিয়েই।
তিনি বলেন, বেলা ২টায় ম্যাচ শুরু হওয়া নিয়ে আমরা খুশি। এটা আমাদের জন্য দারুণ মানানসই। এজন্য শিশির পুরোপুরি হিসাবের বাইরে চলে গেছে। আমার মনে হয়, আমাদের স্পিনাররা এই পর্বে খুব ভালো করবে। আমরা জানি, অনেক দল শিশির নিয়ে প্রচুর ভাবছে। গত কয়েক মাসে হাসারাঙ্গার বিপক্ষে আমরা কয়েকটা ম্যাচ খেলেছি। তার সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা আছে। আমাদের খুব ভারসাম্যপূর্ণ একটা দল আছে যেটায় দক্ষ সব বোলার ও কয়েকজন বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান আছে। সাকিবের মতো বিশ্বমানের অলরাউন্ডার আছে আমাদের। আমিরাতের কন্ডিশন আমাদের জন্য মানানসই।