সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:৫০:২৬

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হওয়ার লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছেন যারা

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হওয়ার লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছেন যারা

জুবায়ের আল মাহমুদ রাসেল: বাংলাদেশের অতি কাছের বন্ধু সাবেক আইসিসি সভাপতি ও বর্তমান ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সভাপতি ডালমিয়ার মৃত্যু এখনো ২৪ ঘণ্টায় পার হয়নি। এরই মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটের বাতাসে উড়তে শুরু করেছে আগামী দিনের সভাপতির নাম। কে হবেন বিসিসিআইয়ের পরবির্তী সভাপতি? ডালমিয়ার গদির লড়াইয়ে কারাই বা এগিয়ে আছেন?

এদিকে, ডালমিয়া তার অনুসারীদের মধ্যে পরবর্তী দায়িত্ব দেওয়ার জন্য কাউকে নির্ধারণ করে যাননি। প্রতিপক্ষদের পক্ষ থেকে এন শ্রীনিবাসনও আদালতকে মানাতে পারলে ফের আসতে পারেন দায়িত্বে। অবশ্য সবকিছুই নির্ভর করছে নির্বাচনের উপর। বিসিসিআইয়ের ইতিহাসে অফিস করা অবস্থায় কোন সভাপতির মৃত্যু হয়নি। সে কারণেই বিপাকে পড়েছে সবাই।

তবে পরবর্তী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেতে পারেন, এমন অনেকের নামই ভেসে বেড়াচ্ছে ভারতের বাতাসে। শ্রীনি বিরোধীদের পক্ষ থেকে সবার আগে নাম আসছে বিসিসিইয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদে আসিন, আনুরাগ ঠাকুরের। এখানেও কথা রয়েছে। সমালোচকরা বলেছেন, আনুরাগ ঠাকুর দায়িত্ব পেলে এটাকে সবাই নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবেন। অনেকেই নাকি মনে করবেন এটা স্বজনপ্রীতি। শুধু তাই নয়। বিসিসিআইয়ের আইন উপদেষ্টা লোধা প্যানেলও এ ব্যাপারে তিনবার ভাববেন।

অনুরাগ ঠাকুরের পরেই শোনা যাচ্ছে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শারদ পাওয়ারের নাম। সাবেক এই বিসিসিআই সভাপতি নিজেই আবারো ডালমিয়ার জায়গায় বসার ইচ্ছা পোষণ করেন আগে থেকেই। কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শারদ নিজের হাত এখন বের করবেন না। আপাতত ‘ওয়েটিং গেম’ খেলতেই পছন্দ তার।


কলকাতার দিকে থেকেও নাম আসছে। সবার উপরে সাবেক অধিনায়ক ও প্রয়াত ডালমিয়ার প্রিয়ভাজন সৌরভ গাঙ্গুলি। সেক্ষেত্রে তিনই সিএবির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছাড়বেন কিনা, সেটাও জানা যায়নি। রয়েছেন সচিব অরুণ জেটলিও। কারণ, শারীরিক অসুস্থতার কারণে যখন নিজেই দায়িত্ব থেকে স্বরে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছিলেন, তখন দায়িত্ব পেতে পারতেন জেটলিও। আর সম্মানজনক পদ হিসেবে ডালমিয়াকে দেওয়া হতো চিফ পেট্রনের পদ।

বিজেপির সাংসদ ও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের(আইপিএল) চেয়ারম্যান রাজিব শুক্লাও রয়েছেন পরবর্তী বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার দৌড়ে। এক্ষেত্রে সংঘর্ষ হতে পারে অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে, যিনিও বিজেপির জ্যৈষ্ঠ সাংসদ। যদিও অনুরাগ ঠাকুর নাকি এ নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নয়।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, অনুরাগ ঠাকুরের সর্বোচ্চ প্রতিদ্বন্দ্বী হতে যাচ্ছেন রাজিব শুক্লা তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ, নিজের ইচ্ছা ছাড়াও সাবেক সভাপতি শ্রীনিবাসনও রয়েছেন তার পক্ষেই।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে