স্পোর্টস ডেস্ক: আবারো ক্রিকেটবিশ্বে প্রমাণ করলেন তিনি নাম্বার ওয়ান খেলোয়াড়। শুক্রবার খুলনা শেখ আবু নাসের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচ টি-টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে এক দুদান্ত ইনিংস খেলেন বিশ্ব সেরা এই অল রাউন্ডার। এদিন যদিও ৪ ওভার বল করে ৪৫ রান দিয়ে দিয়েছেন সাকিব।
ম্যাচ পরিসংখ্যার দিয়ে বিচার করে দেখা যাবে সাকিব এদিন দলের হয়ে জিম্বাবুয়ের শিবিরের প্রথম উইকেট নেন। আর একটি দিক দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় বাংলাদেশ দল যখন পাঁচটি উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপযার্য়ে পড়ে যান তখন দলের হাল ধরেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করতে নামেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তামিম স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে আগাতে থাকলেও পারেননি সৌম্য সরকার। পাঁচ বলে মাত্র সাত রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দলীয় ৩১ রানের মাথায় রান আউটের শিকার সৌম্য। এরপর তামিমের সঙ্গী হন সাব্বির রহমান।
তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী আগাতে পারেননি তামিম। ২৪ বলে মাত্র ২৯ রান করে বিদায় নেন তিনি লং অফে ক্রেমারের বলে সিবান্দার হাতে ক্যাচ দিয়ে। দলীয় রান তখন ৫৮। এরপর বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি অভিষেক ম্যাচে মাঠে নামা শুভাগত হোম। সাত বলে মাত্র ছয় রান করে তিনি উইলিয়ামসের বলে বোল্ড।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে আশা জাগায় সাব্বির ও মুশফিক। এই জুটিতে আসে ৪৪ রান। তবে বাজে শট খেলে বিদায় নেন সাব্বির ও মুশফিক। দলীয় ১১৮ রানের মাথায় ক্রেমারকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ওয়ালারের হাতে তালুবন্দী হন সাব্বির। সাজঘরে ফেরার আগে করে যান ৩৬ বলে ৪৬ রানের দারুণ এক ইনিংস। যেখানে ছিল চারটি চার ও একটি ছক্কার মার।
এরপরই বিদায় নেন মুশফিকও। মাসাকাদজার বল গ্যালারী ছাড়া করতে গিয়ে তালুবন্দী হন সিকান্দার রাজার হাতে। মুশফিক করেন ১৯ বলে তিন চারে ২৬ রান।
শেষের দিকে চাপা উত্তেজনা ছিল। জয় পাবে কি বাংলাদেশ। মুশফিকের বিদায়ের পর ক্রিজে টিকতে পারেননি মাহমুদুল্লাহও। মাত্র তিন বলে মাত্র সাত রান করে জংউইয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। তবে জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু করেছেন সাকিব আল হাসান ও অভিষেক ম্যাচে নামা নুরুল হাসান সোহান। সাকিব ১৩ বলে ২০ ও সোহান ৫ বলে সাত রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।
১৫ জানুয়ারি,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস