স্পোর্টস ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলের ভালোর জন্য নিজেদের সহজাত ভূমিকা ত্যাগ করেছেন বলে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমের কাছে ক্ষমা চাইলেন মাশরাফি।
শুক্রবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে নতুন বছরে নতুন জয় কুড়িয়ে নেন মাশরাফি বাহিনীরা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে অধিনায়ক মাশরাফি জানান, সাকিবকে নামানো হয়েছিল ছয়ে, ফিনিশারের ভূমিকায়। আর ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার কিপিং গ্লাভস দেওয়া হয়নি।
মাশরাফি কারণ উল্লেখ্য একটি এই ম্যাচটা আমাদের কাছে বেশ কটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল সাকিব ও মুশফিকের ভূমিকায় রদ-বদল।
টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের নিজের পছন্দ তিন নম্বরে ব্যাট করা। একটু সময় নিয়ে লম্বা ইনিংস খেলা। কিন্তু শুক্রবার সাকিবকে নামানো হয়েছিল ছয়ে, ফিনিশারের ভূমিকায়। আর ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার কিপিং গ্লাভস দেওয়া হয়নি মুশফিককে।
একজন সাবেক অধিনায়ক, এখনকার সহ-অধিনায়ক; আরেকজন এখনও টেস্ট অধিনায়ক। এমন দুজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে নিজেদের সহজাত ভূমিকা থেকে অন্য কিছু করতে বলাটাও সহজ ছিল না। তবে মাশরাফি জানালেন, দুজনই আন্তরিকভাবে নিয়েছেন ব্যাপারটি।
৪ উইকেটে ম্যাচ জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে দুই সিনিয়র ক্রিকেটারকে ধন্যবাদ জানালেন অধিনায়ক।
“সিদ্ধান্তগুলোর দিকে তাকালেৃখুব কঠিন ছিল। মুশি শেষ ৮-১০ বছর ধরে সব লেভেলে কিপিং করছে। সাকিবের সিদ্ধান্তও খুব কঠিন ছিল। তবে ভালো ব্যাপার হলো যে সিনিয়ররা ব্যাপারটি ভালোভাবেই নিয়েছে, দলের ভালোর জন্যই সব কিছু করা হয়। সাকিব ও মুশির ধন্যবাদ প্রাপ্য যে ওরা ত্যাগ করেছে, দলের ভালোর কথা চিন্তা করেছে।”
দুটি সিদ্ধান্তই অবশ্য বেশ সফল হয়েছে। ১৩ বলে অপরাজিত ২০ রানে ফিনিশারের ভূমিকায় সফল সাকিব। মুশফিকের জায়গায় কিপিং করে নজর কেড়েছেন অভিষিক্ত নুরুল হাসান।
তবে মাশরাফি জানিয়ে দিলেন, এই ভূমিকাই শেষ কথা নয়। সব সময়ই যে এ রকমই থাকবে, তা নয়। হয়ত বা কোনো ম্যাচে প্রয়োজন হলে মুশি কিপিং করবে। সাকিবের ব্যাটিং অর্ডারও দলের চাওয়া মতো বদলাবে।”
১৫ জানুয়ারি,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস