বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২, ০৭:৩৩:৩২

হার্দিক পান্ডিয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত!

হার্দিক পান্ডিয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত!

স্পোর্টস ডেস্ক: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে হারিয়েছে ভারত। এই সিরিজে একাধিক সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। জাতীয় দলে অধিনায়ক হিসেবে এটা তাঁর প্রথম সিরিজ। 

এই সিরিজে যেমন তিনি অভিষেক করিয়েছেন উমরান মালিকের। তেমনি নতুনভাবে ধরা দিয়েছেন দীপক হুডা ও সঞ্জু স্যামসন। ফলে অধিনায়ক হার্দিকের প্রশংসায় সবাই। তবে হার্দিক সবথেকে বেশি প্রশংসিত হয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচে ফাইনাল ওভারের জন্য।

এই সিরিজে অভিষেক করা উমরান মালিককে ফাইনাল ওভারে বল করতে পাঠিয়েছিলেন হার্দিক। ২২৫ রান তাড়া করতে নেমে সেই সময় সুবিধাজনক জায়গায় আয়ারল্যান্ড। বাউন্ডারি মেরে ভারতকে পাল্টা চাপে ফেলে দিয়েছিল আইরিশ ব্যাটাররা। 

শেষ ওভারে তখন বাকি ১৭ রান। অভিষেক করা তরুণ প্লেয়ারকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বল দেওয়ায় হার্দিকের সিদ্ধান্তে চমকে গিয়েছিলেন অনেকে। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন ১৭ রানের মধ্যে দিয়েছেন ১৩ রান। ৪ রানে জেতে ভারত।

দলে অভিজ্ঞ বোলার থাকলেও কেন তরুণ বোলারকে দিয়ে ফাটকা খেলা? এই প্রশ্নের জবাবে হার্দিক বলেন, “আমি আমার সমীকরণ থেকে সব চাপ দুরে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। আমি সেখানে উপস্থিত থেকে উমরানের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। ওর মধ্যে পেস আছে, পেসের কারণে ১৮ রান করা খুব কঠিন। ওরা দারুণ শট খেলছিল, ওরা দারুণ ব্যাট করেছে। আয়ারল্যান্ডের ব্যাটারদের কৃতিত্বের পাশাপাশি আমাদের বোলারদেরেও কৃতিত্ব পাওয়া উচিত কঠিন সময়ে নার্ভ ধরে রাখার জন্য।”

আয়ারল্যান্ডে সবথেকে বেশি সমর্থন পেয়েছেন দীনেশ কার্তিক ও সঞ্জু স্য়ামসন । গত ম্য়াচে যখন সঞ্জুর খেলার কথা ঘোষণা করা হয়, তখন দর্শকরা আনন্দে চিৎকার করে উঠেছিলেন। 

যা দেখে অধিনায়ক বলেন, “সমর্থকদের প্রিয় হল দীনেশ ও সঞ্জু। এই প্রান্তে খেলতে এসে দারুণ অভিজ্ঞতা হল। আমাদের জন্য অনেক সমর্থন ছিল, আশা করছি সবাইকে আনন্দ দিতে পেরেছি। শৈশব থেকে দেশের জন্য় খেলার স্বপ্ন ছিল। নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ভাবতাম। সেটা করতে পেরে ভালো লাগছে।”

সিরিজ ২-০ তে ভারত জিতলেও আয়ারল্য়ান্ডের লড়াই প্রশংসিত হয়েছে। ভারতের মত শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে যেভাবে শেষ বল পর্যন্ত খেলা টেনে নিয়ে গেল তা তাদের ক্রিকেটে উন্নতির লক্ষ্মণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।-এই সময়

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে