স্পোর্টস ডেস্ক: কিছুদিন পর পরই ব্রাজিলিয়ান অধিনায়াক নেইমরাকে আদালতে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। আর এই সবে প্রচণ্ড বিরক্ত কার্লোস ভিয়ারুবি। পুরো বিষয়টিতেই এক ধরনের ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন ক্লাব বার্সার ভাইস প্রেসিডেন্ট।
তার ধারণা, নেইমার যাতে শান্তিতে বার্সার হয়ে খেলতে না পারে সে জন্য একটি মহল বিশেষ কলকাঠি নাড়াচ্ছে। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে, ১৯৬৩ সালে সংঘটিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও যদি ব্রাজিলীয় তারকার নাম জড়িয়ে যায়, তাহলে নাকি এতটুকু আশ্চর্য হবেন না তিনি!
সম্প্রতি নেইমারকে স্পেনের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নেইমারকে এই আদালতে হাজিরা দিতে হবে তার দলবদলের অনিয়মের ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে। সেই সময় বার্সা মৌসুমের সবচেয়ে কঠিন সময়ে প্রবেশ করবে। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্ব শুরু হয়ে যাবে। লিগ আর কাপেও প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। নেইমারের জন্য সে সময় আদালতে ঘুরপাক খাওয়া ঝামেলার তো বটেই।
ব্রাজিলীয় ক্লাব সান্তোস থেকে ন্যু ক্যাম্পে নাম লেখানোর সময় নেইমার আর্থিক জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বড় ধরনের কর ফাঁকির অভিযোগেও মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু ভিয়ারুবির দাবি, বার্সেলোনার হয়ে নেইমারের চোখধাঁধানো পারফরম্যান্সের কারণেই পরিস্থিতি জটিল করে তোলা হচ্ছে, ‘প্রতিটি ম্যাচে নেইমার ভালো খেলছে, এক ম্যাচ থেকে আরেক ম্যাচে তার পারফরম্যান্স আরও উন্নত হচ্ছে। এই কারণেই পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একটি মহল কলকাঠি নাড়ছে। আমি নিশ্চিত এই মহলটি একদিন অভিযোগ তুলবে, ১৯৬৩ সালে যেদিন প্রেসিডেন্ট কেনেডিকে হত্যা করা হয়, সেদিন নেইমার ডালাসে ছিল।’
সেই ‘মহল’টি কে বা কারা, এ ব্যাপারে অবশ্য তিনি কিছু বলেননি। তবে দলবদলে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া বার্সেলোনার দুই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ব্যাপারে ভিয়ারুবি যেন সমব্যথী, ‘বার্সেলোনা দল বদল নিয়ে যে সমস্যায় পড়েছিল, রিয়াল আর অ্যাটলেটিকোও সেই সমস্যায় পড়েছে। যদি তাদের বিরুদ্ধে অবিচার করা হয়, তাহলে অবশ্যই বার্সেলোনা প্রতিবাদ করবে। এ ব্যাপারে বার্সেলোনা অবশ্যই তাদের সমর্থন দেবে। যদিও একটি প্রশাসনিক ভুলের খেসারত আমাদের দিতে হয়েছিল। যদিও শাস্তিটা ছিল অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’ সূত্র: প্রথম আলো
১৯ জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/আরিফুর রাজু/এআর