স্পোর্টস ডেস্ক: মাশরাফি একটি নাম। একটি ইতিহাস। মাঠের ক্রিকেট যোদ্ধা সেই মাশরাফি এবার বইয়ের মলাটে উঠে আসলেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাফল্য মানেই তার পারফরম্যান্স নয়তো অধিনায়কত্বের জাদুর পরশ। তাইতো ক্রিকেটার হিসেবে অবসর নেয়ার আগেই তার জীবনী গ্রন্থ সবার আগ্রহের কেন্দ্রে। তাই মাশরাফি নিজেই উত্থান-পতনের এক রোমাঞ্চকর গল্প লিখেছেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার ক্রীড়া সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায়।
গতকাল সোমবার খুলনায় সতীর্থ ও কোচের উপস্থিতিতে একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হলো 'মাশরাফি' নামের বইয়ের মোড়ক। তখন এই গ্রন্থের লেখক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন মাশরাফি নিজেই উত্থান-পতনের এক রোমাঞ্চকর গল্প।
তিনি বলেন, জীবনে কিছু অর্জনের জন্য যারা লড়াই করে ক্লান্ত বোধ করছেন, মাশরাফির কাহিনী তাদের সাহস যোগাবে।
কেন তিনি মাশরাফির জীবন কাহিনী লিখতে উৎসাহিত হলেন- এই প্রশ্নে লেখক-সাংবাদিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, কোনও মানুষের এরকম নাটকীয় রোমাঞ্চর গল্প বিরল। "আপনি অনেকের জীবনে সংগ্রাম খুঁজে পাবেন, কিন্তু বার বার লড়াই এবং সংগ্রাম করে শিখরে ওঠার গল্প খুব কম ... একটা সময় গেছে যখন মাশরাফি ক্রিকেট থেকেই ছিটকে গিয়েছিল, কিন্তু সে ফিরে এসেছে এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ভিন্ন এক মাত্রায় নিয়ে গেছে ... এই জীবন উত্থান পতনের এক রোমাঞ্চকর গল্প।"
তিনি বলেন, যারা জীবনে কিছু অর্জনের জন্য লড়াই করে ক্লান্ত হচ্ছেন, মাশরাফির জীবন কাহিনী তাদের উজ্জীবিত করবে।
মাশরাফি সম্পর্কে কি এমন তিনি তার বইতে লিখেছেন, যা মানুষ জানতো না -- এই প্রশ্নে দেবব্রত মুখোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, "মাশরাফি একটি খোলা বইয়ের মত।"
"অজানা তথ্য খুব কম, মাশরাফি দিনের পর দিন দেশ এবং বিদেশের মিডিয়ায় খবর হয়েছেন, তার ব্যক্তি জীবনও বার বার খবরের পাতায় এসেছে, সুতরাং অজানা অধ্যায় তুলে আনা কঠিন ছিল।"
তবে তিনি বলেন, এর পরেও ব্যক্তি জীবন ও খেলোয়াড়ি জীবনের অনেক অজানা তথ্য তার বইতে রয়েছে।প্রায় তিন বছর ধরে বইটি লিখেছেন ঢাকার এই ক্রীড়া সাংবাদিক।
দেব্রবত বলেন, এই তিন বছরে মাশরাফির জন্মস্থান নড়াইলে এবং গ্রামের বাড়িতে পাঁচ ছয়বার গেছেন লেখক। ঢাকার বাড়িতে গেছেন নিয়মিত। মাশরাফি, তার পরিবার এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলের সবাই অকুণ্ঠ সহযোগিতা করেছেন।
১৯ জানুয়ারি,২০১৫/এমটি নিউজ২৪/আল-আমিন/এএস