বুধবার, ১৭ আগস্ট, ২০২২, ০৮:২৩:০৭

যা কখনও আশা করেনি এমন সুখবর পেলেন টাইগাররা!

যা কখনও আশা করেনি এমন সুখবর পেলেন টাইগাররা!

স্পোর্টস ডেস্ক: যা কখনও আশা করেনি এমন সুখবর পেলেন টাইগাররা! আগেই জানা গিয়েছিল, নতুন ফিউচার ট্যুর প্ল্যানে (এফটিপি) ম্যাচের সংখ্যা বাড়ছে বাংলাদেশের। তবে এতটাও হয়তো আশা করেনি খোদ টাইগাররাও। 

আইসিসির প্রকাশিত নতুন প্রকাশিত এফটিপিতে দম ফেলার ফুরসত নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। আরও পড়ুন: অবশেষে সেই খুদে ভক্তকে যা উপহার দিলেন সাকিব

২০২৩ থেকে ২০২৭ সাইকেলে সবচেয়ে বেশি দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বুধবার (১৭ আগস্ট) এই নতুন এফটিপি প্রকাশ করেছে আইসিসি।

ঘোষিত এফটিপিতে, সবমিলিয়ে চার বছরের সাইকেলে পূর্ণ সদস্যের ১২ দল মোট ৭৭৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে। যেখানে ১৭৩ টেস্ট, ২৮১ ওয়ানডে এবং ৩২৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে দলগুলো। 

বর্তমান সাইকেলে ৬৯৪ ম্যাচ খেলেছিল দলগুলো। বাংলাদেশ মোট খেলবে ১৫১টি ম্যাচ। যেখানে ৩৫টি টেস্ট, ৫৯টি ওয়ানডে ও ৫৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রয়েছে।

তবে এফটিপির এ হিসাব শুধু দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য। এর বাইরে অন্য দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে আয়োজিত দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, ত্রিদেশীয় সিরিজ, এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপেও আরও ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে টাইগাররা।

২০২৩-২৭ সাইকেলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ সময়ে বাংলাদেশ খেলবে ১৫১ টি ম্যাচ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৭ ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচের সংখ্যায় দুই মোড়ল ইংল্যান্ড-ইন্ডিয়া আছে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে। 

এই দুই দল খেলবে যথাক্রমে ১৪২ ও ১৪১ ম্যাচ। এছাড়া  নিউজিল্যান্ড ১৩৫, পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া (১৩২), এশিয়ার দুই সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা (১৩১) ও পাকিস্তান (১৩০), আফগানিস্তান (১২৩) সাউথ আফ্রিকা (১১৩), আয়ারল্যান্ড (১১০) ও জিম্বাবুয়ে (১০৯) আছে এরপরেই।

টি-টোয়েন্টির হিসেবে সবচেয়ে বেশি দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৭৩)। তার পরেই আছে ভারত (৬১)। এরপরই আছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। দুদলই খেলবে ৫৭টি করে টি-টোয়েন্টি।

এফটিপি অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে খেলবে টাইগাররাই। চার বছরে ৫৯টি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। এরপরই আছে শ্রীলঙ্কা (৫২) ও আয়ারল্যান্ড (৫১)।

টেস্টের হিসেবে সবার উপরে ইংল্যান্ড। ২০২৩-২৭ সাইকেলে মোট ৪৩টি টেস্ট খেলবে থ্রি লায়নরা। ম্যাচ সংখ্যায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া (৪০) ও ভারত (৩৮)। এদের পর সর্বোচ্চ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশই। নতুন এফটিপি অনুযায়ী এ সময়ে বাংলাদেশ খেলবে ৩৪টি টেস্ট।

নতুন সাইকেলে বাংলাদেশ খেলা শুরু করবে আয়ারল্যান্ড সফরের তিন ওয়ানডে ও চার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে। ২০২৩ সালের মে মাসে শুরু হওয়া এই সাইকেল শেষ হবে ২০২৭ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়া সফরের দুই টেস্টের মধ্য দিয়ে।

এফটিপিতে থাকা ১৭ টেস্ট সিরিজের মধ্যে ১২টি থাকছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি সিরিজেই থাকছে দুটি করে ম্যাচ। ১৯টি ওয়ানডে সিরিজের মধ্যে ১৮টিই হবে তিন ম্যাচের। ২০২৬ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য জিম্বাবুয়ে সিরিজটি হবে পাঁচ ম্যাচের।

টি-টোয়েন্টিতে ১৮ সিরিজের ১৬টি হবে তিন ম্যাচের সিরিজ। শুধু ২০২৩ এর মে মাসে হতে যাওয়া আয়ারল্যান্ড সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি হবে ৪ ম্যাচের। এ ছাড়া ২০২৪ এর ঘরের মাঠের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজটি হবে পাঁচ ম্যাচের।

এফটিপি অনুযায়ী ২০২৪ সালের আগস্টে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ফিরে সেপ্টেম্বরে ভারতে গিয়ে দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলবে টাইগাররা।

নতুন এ এফটিপির সবশেষ সিরিজ দিয়ে  ফুরাবে বাংলাদেশের একটা বড় আক্ষেপ। ২০২৭ এর মার্চে ২ টেস্টের সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া যাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সবশেষ অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়েছিল ২০০৩ সালে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে