স্পোর্টস ডেস্ক: টি-২০ আন্তর্জাতিকে শামি ১৭ ম্যাচে ১৮টি উইকেট নিলেও এই ফরম্যাটে মোহাম্মদ শামি মোট ১৩৩টি ম্যাচ খেলেছেন, উইকেট ১৫৬টি। ইকনমি ৮.২৮। শামি যে কোনও সময় উইকেট তুলে নিতে দক্ষ। তবে টি-২০ বিশ্বকাপের দলে ঢুকতে পারেন শামি।
এশিয়া কাপে ভারতীয় বোলিংয়ের হতশ্রী দেখে শুধু এই কারণেই অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের কথা ভেবে তাকে খেলানোর দাবি জোরালো হয়েছিল। কিন্তু দেশের মাটিতে সিরিজের দলে রেখে শামিকে টি-২০ বিশ্বকাপে রাখা হলো রিজার্ভ হিসেবে। কোনও ক্রিকেটার চোট বা অসুস্থ হয়ে ছিটকে গেলে তার জায়গায় রিজার্ভ ক্রিকেটারদের থেকে নেওয়া হয়।
জসপ্রীত বুমরাহ ও হর্ষল প্যাটেল ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারাও অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দলে রয়েছেন। ভারতের মাটিতে দলে তো খুব বেশি জোরে বোলারও লাগবে না। তাহলে এই কি এই দুই পেসার ম্যাচে কেমন খেলেন তা যাচাই করে তাদের বিকল্প হিসাবে শামিকে রিজার্ভে রাখা হলো?
কেউ ছিটকে গেলে তবে খেলবেন শামি? কিন্তু জসপ্রীত বুমরাহর পর দেশের সেরা পেসার শামিকে টি-২০ বিশ্বকাপে দলে রাখা উচিত ছিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ থেকে ক্রিকেটপ্রেমীরা। মহম্মদ শামিকে নিয়ে এই ছেলেখেলা অনেকেই মানতে নারাজ। মাঝে শোনা গিয়েছিল, শামি নাকি টি ২০ আন্তর্জাতিকে নির্বাচকদের ভাবনায় নেই।
তাই যদি হবে তাহলে টি-২০ বিশ্বকাপের মূল দলে না রেখে কেন তার আগে ৬টি ম্যাচের দলে তাকে রাখা হলো? টি-২০ বিশ্বকাপের মাসখানেক আগে যখন সেরা কম্বিনেশন খেলানোই প্রত্যাশিত, তাহলে শামিকে দলে রাখা কি শুধুই ড্রেসিংরুম বা ডাগ আউটে বসিয়ে রাখার জন্য? নাকি অস্ট্রেলিয়ায় বোলিং কম্বিনেশন কেমন হবে সে সম্পর্কে এখনও নিশ্চিতই হতে পারেনি দ্রাবিড় অ্যান্ড কোম্পানি?