স্পোর্টস ডেস্ক : তৃতীয় ম্যাচটিতে অর্ধেকের মত ছিল অনভিজ্ঞ ক্রিকেটার। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ টিমে ফিরিয়ে নেয়া হয় অভিজ্ঞদের। কিন্তু সাফল্য পাননি বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম।
ম্যাচ হারের পর সর্বত্র সমালোচনা আর সমালোচনা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নেমেছে নিঁখুত গবেষণায়। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এখান থেকে শিক্ষা নিবে বোর্ড।
তবে দেখা যায় বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের পারফর্ম ১৮ রানের ব্যবধানে এই হারের জন্য দায়ী। তাসকিন আহমদেকে ডাক দেয়া হয় সিরিজ জয়ের ম্যাচে।
তাসকিন ৩২ রান করা মুতুম্বামিকে ১০ রানে আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করেন। মুতুম্বামির সহজ ক্যাচ হাত ফসকে বের হয়ে যায় তাসকিনের। সর্বোচ্চ ৯২ রান করে টি-টোয়েন্টিতে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসাবে তামিমের সর্বোচ্চ রান টপকে যান মাসাকাদজা।
মাসাকাদজাকে দুইবার আউট করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। মাসাকাদজার ৩২ ও ৩৪ রানে আসে এই সুযোগ। সাকিব ও মাশরাফি সফল হননি তার ক্যাচ লুফে নিতে।
তৃতীয় ম্যাচে হারের জন্য ভেজা ফিল্ডকে দায়ী করেন মাশরাফি। শেষ ম্যাচে ফিল্ড ভেজা ছিল না। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বাজে ফিল্ডিং ছিল লক্ষ্যনীয়। বোলারদের মধ্যে বেশি রান দেন মাশরাফি। ৪ ওভারে ৪০ রান দেন তিনি।
শেষ ম্যাচে হারের জন্য দায়ী তামিম, সাব্বির ও সাকিবের ব্যাটিং। তামিম ও সাব্বির দুই জনেই করেন ১ রান। সাকিব করেন মাত্র ৪ রান। সব কিছুই এখন আলোচনায় বিসিবিতে।
এছাড়া সৌম্য ইমরুলেরও ব্যর্থতা ছিল। সৌম্য ১১ রান ও ইমরুল ১৮ রান করে বিদায় নেন। প্রথমে ব্যাট করতে নামা ৫ ব্যাটসম্যানই ছিলেন ব্যর্থ। এই ম্যাচে রিয়াদের হাফসেঞ্চুরিই হয়তো খানিকটা মুগ্ধ করেছে ভক্তদের।
বিশ্বকাপের আগে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়ের কাছে এমন পরাজয় মেনে নিতে পারছেন না বিসিবির কর্মকর্তারাও।
২৩ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/হাবিব/এইচআর