স্পোর্টস ডেস্ক : আশরাফুল, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দিকের উজ্জ্বল নক্ষত্রের একটি নাম।যাকে বাংলাদেশের বেশীর ভাগ মানুষ ভালবাসে। যার নাম হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের আশার প্রতীক। তার ব্যাট হাসলে বাংলাদেশ হাসত। তার দিকে তাকিয়ে থাকত সারাদেশ।
প্রথম দিকের বাংলাদেশের বড় জয় গুলোতে তার অবদান সবচেয়ে বেশি। তার সামর্থ্য নিয়ে কোনদিন প্রশ্ন উঠেনি। কিন্তু সামর্থ্য অনুযায়ী সবসময় খেলতে পারত না। এক ম্যাচ ভাল খেলেই পরের কয়েক ম্যাচ ফ্লপ। সবকিছু ঠিক চলতেছিল, দলে আসা যাওয়ার মধ্যে ছিলেন।কিন্তু হঠাৎ তার জীবনে নেমে এল স্পট ফিক্সিংয়ের কলংক।
টাকার বিনিময়ে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে।পরে দোষ স্বীকার করে দেশবাসীর নিকট ক্ষমা চান আশরাফুল।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, নিষিদ্ধের খড়গ নেমে আসে তার উপর।এরপর নদীর পানি অনেক দূর গড়িয়েছে।
তবে ফের আশরাফুলের দরজার সামনে কড়া নাড়ছে ক্রিকেট দুনিয়ায়।সবাই অপেক্ষায় তার জন্য।সুখবর অপেক্ষা করছে ম্যাচ পাতানোর জন্য নিষিদ্ধ ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুলের জন্যও।
সম্প্রতি আশরাফুলও বললেন, ‘হ্যাঁ, আমি ২০১৬ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে আবারও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারবো। আমার আশা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও একদিন ফিরবো। তবে তার সামনে সময়টা খুব বেশি নয়, মাত্র ৮ বছর।
আশরাফুলের বয়স এখন ৩১ বছর চলছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ক্রিকেটে খেলা যায়।তাই আশরাফুলও আশা ছাড়ছেন না।কারণ তিনি মনে করেন, জাতীয় দলকে দেওয়ার অনেক কিছু বাকি আছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় আসরে ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন মোহাম্মদ আশরাফুল।
এই ক্রিকেট তারকার জন্ম ১৯৮৪ সালের ৭ জুলাই ঢাকার বাসাবোতে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডের অধিকারী। এই কৃতিত্ব তিনি অর্জন করেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কারই মাটিতে। ব্যাটিংয়ে দক্ষতা ছাড়াও তিনি মাঝে মাঝে ডানহাতে লেগ স্পিন বল করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।
২৩ জানুয়ারি ২০১৬/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এসএম/ডিআরএ