স্পোর্টস ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে ইকুয়েডর। এই ব্যবধান আরও বাড়তে পারত, যদি না ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে ইকুয়েডর অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়ার একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল না হতো। ম্যাচের মাঝেই ওই গোল বাতিল করা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দর্শকদের মাঝে প্রশ্ন জেগেছে, কেন এই গোলটিকে অফসাইড আইনে বাতিল করা হলো?
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে যান ইকুয়েডরের ফেলিক্স তোরেস। কিন্তু বলটি তার শরীরে লেগে বল চলে যায় মাইকেল এস্ত্রাদার কাছে। আর এই এস্ত্রাদাই ছিলেন অফসাইডে দাঁড়ানো।
কিন্তু কেন তিনি অফসাইড হবেন? ফিফার আইন বলছে, গোলকিপার এগিয়ে গেলে স্ট্রাইকারকে অন্তত দুই খেলোয়াড়ের সঙ্গে একই লাইনে থাকতে হবে। ঘটনার সময় কাতারি গোলকিপার এগিয়ে এসেছিলেন আর এস্ত্রাদার সামনে মাত্র একজন ছিলেন।
ওই সময় এস্ত্রাদা শেষ ডিফেন্ডারের পেছনে ছিলেন বলেই গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এই গোলটি বাতিল করা হয়েছিল নতুন 'সেমি অটোমেটেড অফসাইড' প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
মাস ছয়েক আগেই ফিফা বিশ্বকাপে এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছিল। সেই গোল বাতিলের পর ১৬তম মিনিটে ইকুয়েডরকে এগিয়ে দেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। ৩৩ মিনিটে তার দ্বিতীয় গোলেই খেলার ফলাফল নির্ধারিত হয়।