স্পোর্টস ডেস্ক : একদিকে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইঁ জার্মেই (পিএসজি), অন্যদিকে মেজর লিগ সকারের নবাগত ইন্টার মায়ামি। অভিজ্ঞতা, স্কিল, গতি; সব দিক থেকেই যেন ম্যাচটা ছিল অসম লড়াই। কিন্তু যখন প্রতিপক্ষ দলে লিওনেল মেসি, তখন কোনো প্রতিযোগিতাই ছোট হয়ে থাকে না।
৪-০ গোলে পরাজয়, কঠিনই বটে। তবে ম্যাচ শেষে হারের দায় এড়িয়ে যাননি মেসি। বরং স্বীকার করেছেন—পিএসজির মতো দলের বিপক্ষে লড়াই করতে হলে আরও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে তাদের।
মাঠের হার, মন থেকে নয়। নিজের ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে মেসি লেখেন, “আজ আমাদের ক্লাব বিশ্বকাপের যাত্রা শেষ হলো এমন একটি দলের বিপক্ষে, যারা এই মুহূর্তে ইউরোপ সেরার মুকুট পরে আছে। তাদের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছেন, যাদের আমি শ্রদ্ধা করি, আবার দেখা হওয়ায় আনন্দিতও।”
এই বড় হারকে পেছনে ফেলে কিছুটা সময় নিজের বাড়িতে বিশ্রামে থাকবেন মেসি। এরপর ফিরবেন মাঠে। লক্ষ্য এবার এমএলএস মৌসুম। বলেন, “আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করেছি। সেরা ১৬ দলের মধ্যে জায়গা করে নেওয়া। এখন সময় নতুন চ্যালেঞ্জের দিকে মনোযোগ দেওয়ার।”
হেরে গেলেও হৃদয়ে লড়াইয়ের ছাপ। ম্যাচ-পরবর্তী সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল লড়াই করা। প্রতিযোগিতাটিকে সম্মান জানানো। অনেকে হয়তো আমাদের কাছ থেকে খুব বেশি কিছু আশা করেননি। কিন্তু আমরা প্রমাণ করেছি, আমরাও লড়তে জানি।”
তবে বাস্তবতাও মানতে ভুল করেননি তিনি, “পিএসজি দারুণ দল। তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে। দুর্দান্ত ছন্দে আছে। আমাদের জন্য এটা সহজ ছিল না। তবে আমরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েছি।”
মেসি জানেন, এই পর্যায়ের ফুটবল মানে শুধু জয় নয়, শেখার সুযোগও। পিএসজির কাছে বড় ব্যবধানে হারলেও তিনি গর্বিত দলের প্রচেষ্টায়, গর্বিত নিজের নেতৃত্বে, “পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা চেষ্টা করেছি, প্রতিটি ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। ক্লাব বিশ্বকাপে আমাদের যাত্রা এখানেই শেষ, তবে আমরা মাথা উঁচু করে ফিরছি।”
ফুটবল শুধু গোলের খেলা নয়, আত্মমর্যাদারও। সেই জায়গায় মেসি এখনো অদ্বিতীয়—জয়-পরাজয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে একজন সত্যিকারের লিডার।