সোমবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৩, ১১:১১:০৪

শেষ পর্যন্ত যিনি হতে পারেন বাংলাদেশ দলের কোচ!

শেষ পর্যন্ত যিনি হতে পারেন বাংলাদেশ দলের কোচ!

স্পোর্টস ডেস্ক: রাসেল ডমিঙ্গোর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হতে পারেন চান্ডিকা হাথুরুসিংহ। লঙ্কান এই কোচের টিম টাইগার্সের দায়িত্ব নেয়া নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা না পাওয়া গেলেও বিসিবির নীতিনির্ধারকদের তরফে তেমন কিছুরই আভাস মিলছে।

বিপিএলের ডামাডোলে খানিকটা আড়ালে জাতীয় দলের হেডকোচ ইস্যু। নিভৃতেই চলছে নতুন কোচের সন্ধান। রাসেল ডমিঙ্গোর পদত্যাগের পর থেকে শূন্য চেয়ার। বাংলাদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই কাউকেই জাতীয় দলের হেডকোচ করতে চায় বিসিবি।

বেশ কঠোর মনোভাবের হলেও চান্ডিকা হাথুরুসিংহকে পছন্দ নীতিনির্ধারকদের। বোর্ড পরিচালক আকরাম খান দিন কয়েক আগেই বলেছেন, এশিয়ার বাইরের কোচদের সঙ্গে বোঝাপড়ায় কিছুটা সমস্যা হয় ক্রিকেটারদের। এই ক্ষেত্রে আগের মেয়াদে বেশ সফল ছিলেন হাথুরু।

এদিকে, সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুস। সম্ভাব্য কোচ হিসেবে হাথুরুর কথা নিশ্চিত না করলেও তিনি বলেছেন, সাব কন্টিনেন্টে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে এমন কাউকেই বেছে নেয়া হবে।

এর আগেও বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন হাথুরু। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টাইগারদের ডেরায় ছিলেন তিনি। তবে কড়া শাসনে হাঁপিয়ে ওঠা ক্রিকেটারদের অনেকের চাওয়াতেই নাকি সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল কোচকে আবারও নিয়ে আসতে আগ্রহী বোর্ডের বড় একটা অংশ।

সম্প্রতি হাথুরুকে নিয়ে জালাল ইউনুস বলেছিলেন, ‘হাথুরুসিংহের কথা আমি বলতে পারছি না। যেটা আমি জানি, আমরা হেড কোচের জন্য চেষ্টা করছি। আমি কোনো নির্দিষ্ট নাম বলতে পারছি না। আমাদের সামনে ইংল্যান্ড সিরিজ আছে, তার আগেই আমরা চেষ্টা করব একটা হেড কোচ নিয়োগ দেওয়ার। আগামী মাসে এখানে কয়েকজন কোচ পদপ্রার্থী আসবেন, তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পড়েই আমরা বলতে পারব, কে কোন ফরম্যাটে কোচ থাকবেন।’

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় হাথুরুসিংহকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন আকরাম খান। তার কোচিং স্টাইলও বেশ পছন্দ তার।

বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির কর্তাব্যক্তি বলেছিলেন, ‘হাথুরুকে আমি খুব কাছে থেকে দেখেছি। সে আবার আমাদের কালচারের। সে কিন্তু প্রত্যেক সময় গিয়ে গিয়ে আমাদেরে মনে করিয়ে দেয়, তার কী দরকার বা কী করতে হবে। হাথুরুর যে জিনিসটা আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছিল সেটা হচ্ছে, সবকিছুর সঙ্গে সে যেভাবে ইনভলভমেন্ট গড়ে তোলে। খেলোয়াড়দের থেকে কীভাবে পারফরম্যান্সটা বের করতে হবে, সে দায়িত্বটা দিত এবং সফল হলে জিজ্ঞেস করত, আর না হলেও। এটা আমার কাছে ভালো লেগেছিল।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে